রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিক্ষোভে আহত ৮

রাজধানীর তেজগাঁও মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির শ্রমিক ও সাধারণ জনতা। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে তিব্বতের প্রধান সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।
এরপর তারা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা সড়ক ডিভাইডার ভেঙে এবং ট্রাফিক বিভাগের ব্যারিকেড দিয়ে আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আটজন আহত হন।
আহতরা হলেন ফাহাদ মহাজন (১৭), ফজলে হাসান (২৪), আদিব (২২), লিওন (২৫), তানভীর ইসলাম তুহিন (২৪), সাফাত (১৮), নিবিড় তালুকদার (১৮) ও ইসমাইল সরকার (২৫)।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্য করেন। তার ফাঁসির দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে ফাঁসি দেওয়া না হবে ততক্ষণে পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বে না।
পুলিশ ও কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কোহিনূর কেমিক্যালের কর্মরত কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান বলেন, কোহিনূর কেমিক্যালের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবুও তারা সড়ক ছাড়ছে না। তাদের দাবি তাঁকে ফাঁসি দিতে হবে।
ওসি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আমি ও আমাদের ডিসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলেছি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির জিএমও কথা বলেছেন। তারা চাচ্ছে এ কর্মকর্তাকে এখনই ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। আসলে বিক্ষোভকারীদের তৃতীয় কোনো পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। যার ফলে তারা কোনো আইনকানুন মানছে না।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া জন্য বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সদস্যরাও রয়েছেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।