সংস্কার বা নির্বাচন বুঝি না, আগে আ.লীগের বিচার করুন : ইনকিলাব মঞ্চ

সংস্কার বা নির্বাচন নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আগে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত শহীদী সমাবেশ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ইসলাম হাদি এই দাবি জানান।
এই সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে ১০০ দিনের আল্টিমেটাম দেন তিনি। আগামী ‘৩৬ জুলাই’ তথা ৫ আগস্টের মধ্যে গণহত্যাকারী আওয়ামী লিগের বিচার না হলে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ঘোষিত ওই কর্মসূচির নাম ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’।
শরীফ ইসলাম হাদি বলেন, আমরা সংস্কার বা নির্বাচন বুঝি না, সবার আগে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানাই, গণহত্যাকারী এই দলটির নিষিদ্ধের দাবি জানাই।
এই সময় শরীফ ইসলাম বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের উদ্দেশে করে বলেন, শহীদ জিয়ার বিএনপির সঙ্গে দিল্লির কোনো সম্পর্ক চাই না। সাইদী-নিজামীর জামায়াতের সঙ্গে দিল্লির কোনো সম্পর্ক চাই না। জুলাইয়ের ১৪০০ শহীদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত এনসিপির সঙ্গে দিল্লির কোনো সম্পর্ক চাই না।
হাদি এই সময় এনসিপি নেতাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এনসিপির ভাইদের বলতে চাই, জুলাই শহীদদের ওপর দিয়ে গড়া দল দিল্লির মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে তোমাদেরও হাসিনার মতো টেনে নামাবো।
আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে আগামী ১০০ দিন দেশের ৬৪ জেলায় গণসংযোগ চালাবে ইনকিলাব মঞ্চ। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩৬ জুলাই (৫ই আগস্ট) দুপুর ২টায় ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।

শহীদী সমাবেশ শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে ইনকিলাব মঞ্চ। এর আগে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে চার দফা ঘোষণা করে তারা।
সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়—
১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।