আজিজ সুপার মার্কেট মঙ্গলবার থেকে খুলছে
পবিত্র মাহে রমজান চলছে৷ সামনে ঈদুল ফিতর। অথচ, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে সবকিছু থমকে গেছে। এই আতঙ্কে রাজধানীর বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে খুলছে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আজিজ কো-অপারেটিভ দোকান-মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতি এক বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান নাজু।
নাজমুল আহসান নাজু বলেন, ‘আমরা আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে আজিজ মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখব। যাতে কোনোভাবেই কেউ করোনায় আক্রান্ত না হন।'
আজিজ কো-অপারেটিভ দোকান-মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরো বলেন, ‘আমরা ১০ মে থেকে মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি ছিল না। সেজন্য আমরা খুলিনি। এখন আমরা জীবাণুমুক্ত ট্যানেল স্থাপন করেছি। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছি। দোকানের সামনে বেস্টনি দিয়েছি। সুতরাং, এখন আর দোকান খোলা রাখতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখব।'
আজিজ সুপার মার্কেটে পাঁচটি দোকান আছে মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘আমরা ১০ তারিখ থেকে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু শাহবাগ থানার পুলিশ আমাদের বলেছিল, সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আমরা দোকান খুলতে পারব না। আমরা সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রস্তুত আছি। সব ব্যবস্থাও করা শেষ। আমরা কাল থেকে দোকান খুলব।'
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে মধ্যবিত্তদের কেনাকাটার ভরসাস্থল রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনী চক না খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোকান ব্যবসায়ীরা। গত শনিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও গত ১০ মে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সীমিত আকারে দোকান খোলা রাখার।
শুধু যে তাই নয়, এর আগে রাজধানীর প্রধান বিপনিবিতানগুলো যেমন- বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে, যমুনা ফিউচার পার্কসহ মিরপুরের বেশ কয়েকটি বড়-সড় জামা-কাপড়ের দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) নগরবাসীকে সরকারঘোষিত সময়সূচি ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মার্কেট থেকে তাদের ঈদের কেনাকাটা শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিটি শপিংমলের প্রবেশপথে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন এবং প্রতিটি দোকানে পৃথক তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।