করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে আদা-রসুনের দাম
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/02/18/onion_photo.jpeg)
চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সেখান থেকে আমদানি স্থগিতের পর এক মাস ধরে রাজধানীর কাঁচাবাজারে রসুন ও আদার দাম ৩৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয়ভাবে চাষ করা রসুন প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার মূল্য এক মাস আগেও ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। যা গত মাসে ছিল ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।
এদিকে, এর আগে রোববার ব্যবসায়ীরা আদা বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ২০০ টাকায়, যা জানুয়ারি মাসে ১১০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর রসুনের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে আমদানি করা ৯০ ভাগ রসুন আসে চীন থেকে। ব্যবসায়ীরা ইঙ্গিত দেন, বর্তমান পরিস্থিতি যদি দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে, তবে দাম আরো বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) মতে, আমদানি করা রসুনের দাম ৩১.০৩ শতাংশ বেড়েছে। এক মাসের তুলনায় স্থানীয় রসুনের দাম বেড়েছে ৩.৭০ শতাংশ।
মগবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানান, বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। তবে, রসুন ও আদা এই দুটি দ্রব্যের দাম অনেক বেড়েছে।
আনিসুর রহমান আরো জানান, আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকায় এবং আদা ১১০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। বিক্রি পাইকারি বাজারের দামের ওপর নির্ভর করে বলেও জানান তিনি।
শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতা আবদুল মতিন জানান, রসুন ও আদা মূলত চীন থেকে আমদানি করা হয়। আমদানি স্বাভাবিক হয়ে গেলে দাম কমবে।
মতিন আরো জানান, প্রতি বছর চীন থেকে এক থেকে দেড় লাখ টন রসুন আমদানি করা হয়। তবে আদা আমদানির কোনো পরিসংখ্যান তিনি দিতে পারেননি।
এদিকে কাঁচাবাজারে মসুর, গোলমরিচ, হলুদ ও চিনির দামও বেড়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা সবসময় অজুহাত খোঁজেন। এবারও তাঁরা একই কাজ করেছেন, যদিও করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব নেই।’
ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছিল উল্লেখ করে নাজির হোসেন জানান, তাঁরা একইভাবে রসুন ও আদার দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সংকট দীর্ঘদিন থাকবে না বলে আশাপ্রকাশ করেন নাজির।