তরমুজের সময়, বিক্রেতার অসময়
গ্রীষ্মের শুরু। তাপদাহ চলছে। এরমধ্যে আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ। এই সময়ে গরমের প্রশান্তি আনতে তরমুজের বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু করোনার কারণে সেই তরমুজ বিক্রিও কম হচ্ছে। আর এতে লোকসানের আশংকা করছে বিক্রেতারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারীসহ বিভিন্ন ফলের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে তরমুজে ভরপুর। কিন্তু ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতারা বসে রয়েছে।
আনোয়ার নামের এক দোকানি বলেন, গরমের সময় মানুষ সবচেয়ে বেশি কিনে তরমুজ। কিন্তু এবার করোনার কারণে তরমুজও তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিগত বছরে এই সময়ে তরমুজের অনেক চাহিদা থাকে। কিন্তু এবার অনেক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে। তার পরও অনেকে তরমুজ কিনছে না।
কবির হোসেন নামের আরেক দোকানি বলেন, মানুষ করোনার কারণে খরচ একটু কম করছে। অন্যকিছুর থেকে মুদি দোকানের মাল বেশি কিনছে। আমরা করোনার লকডাউনের আগে ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে এনেছি। এখন এগুলো বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘কাঁচামালের পণ্য, বেশি দিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো বিক্রি করতে না পারলে পোলা-পাইন নিয়া কী খামু বুঝতেছি না।’
দোকানি দিলু মিয়া বলেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা পথে বসেছি। কাস্টমার না থাকলে এগুলো আমরা কী করব। তিনি বলেন, করোনার আগে আমরা বিভিন্ন পাইকারের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে মাল নিয়ে আসছি। এখন বেশি বিক্রি করতে পারছি না।
হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, করোনার কারণে ঘর থেকে বের হই না। আজকে কিছু বাজার করতে এসেছি, তাই বাসার জন্য তরমুজ নিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বছরের প্রথম দিনে তরমুজ না খেলে নববর্ষের মজা পাওয়া যায় না।