দুদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/03/20/onion.jpg)
দুদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দুদিন আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকায়। আজ তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এর ফলে জনমনে ফের অস্বস্তি ফিরে এসেছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, ভাটারা, রায়সাহেব বাজার, টিকাটুলী, মতিঝিল, হাতিরপুল, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের পাশাপাশি আদা, রসুন ও আলুরও দাম বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারে ক্রেতা রায়হান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদিন আগে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৪০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু সে পেঁয়াজ আজকে পাইকারিতে ১৫-২০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও দোকানিরা করোনাকে পুঁজি করে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
হাকিম মোল্লা বলেন, ‘করোনার কারণে সবাই হুমড়ি খেয়ে বাজার করছে। কিন্তু যাদের আর্থিক সামর্থ্য সেভাবে নেই, তাঁরা বাড়তি দাম দিয়ে কীভাবে পণ্য বা পেঁয়াজ কিনবে। এ বিষয়ে বাজার কঠোরভাবে মনিটরিং করা আবশ্যক বলে জানান তিনি।
এদিকে রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে, যা দুদিন আগেও ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে এসব বাজারে দেশি রসুনে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা দুদিন আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা। এ ছাড়া আদা বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা, যা দুদিন আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। অন্যদিকে আলুর দামও বেড়েছে, ১৮-২০ টাকা কেজি প্রতি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা দরে।
যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী আলম দেওয়ান বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্কে দুদিন থেকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলুর চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা বাড়ায় আড়ত থেকে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আড়তে দাম বাড়ার কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মানুষ যদি কম পরিমাণে এসব পণ্য ক্রয় করে তাহলে আমাদের ধারণা, কিছুদিনের মধ্যেই আবার দাম কমে যাবে।’
এদিকে, পেঁয়াজ বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে হজরত আলী নামের এক পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী হজরত আলী দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা করে বাড়িয়েছে। গতকালও তিনি ৪৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন, যা আজ বিক্রি করছিলেন ৫৯ টাকায়। তাঁর কাছে বাড়তি দামের কেনার রসিদ দেখতে চাইলে উনি তা দেখাতে পারেননি। তাই তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।