সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান বন্ধ
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দিতে বলেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। আজ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
সভাপতি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনেই সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে যেসব ক্রেতা শপিং করতে এসেছেন তাঁরা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই কেনাকাটা করছেন, মার্কেটগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক গুরুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’
হেলাল উদ্দিন আরো বলেন, ‘তার পরও যদি কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে না পারেন; সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সমিতি ও মার্কেট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব- তাৎক্ষণিক দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেবেন। যদি তাও সম্ভব না হয়; তাহলে পুলিশের সহায়তা নেবেন।’ তিনি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছি; তাই কোনো মতেই বেখেয়াল হলে চলবে না।
এর আগে গত সোমবার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ১০ মে থেকে দোকান ও শপিংমল সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দেয়। এদিকে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রমজান মাসে রাজধানীর অন্যতম সেরা দুটি শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সসহ বেশিরভাগ শপিংমল না খোলার নিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শপিংমলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। পর্যায়ক্রমে ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।