হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবার ভারত থেকে (নন বাসমতি) চাল আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলের দিকে ১১২ মেট্রিকটন চালবোঝাই তিনটি ভারতীয় ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করে। নওগাঁর আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করে।
২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি বন্ধ ছিল।
হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন চাল আমদানিকারক জানান, দেশে ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে দামের লাগাম টানা যাচ্ছিল না। প্রতিনিয়ত দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা হাঁফিয়ে উঠছিলেন। এ অবস্থায় সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বেসরকারিভাবে (নন-বাসমতি) সিদ্ধ চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকেরা সরকারের কাছে চাল আমদানির জন্য আবেদন করেন। গত ৩ ও ৫ জানুয়ারি দেশের ২৯ জন আমদানিকারক সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য এলসি করেন। এর মধ্যে হিলি স্থলবন্দরের দুজন আমদানিকারকও রয়েছেন। তারাও ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি অনুমতি পান। এরই অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে স্বর্ণা ৫ জাতের ১১২ মেট্রিকটন চালের একটি প্রথম চালান আমদানি করে আনে নওগাঁর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জগদিশ চন্দ্র রায়।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শ্রীপদ রায় বলেন, ‘অনুমতি পেয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন শর্তাবলী অনুসরণ করে ভারত থেকে ১০ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির জন্য এলসি করেছি। শনিবার প্রথম চালানের ৬০০ মেট্রিকটনের মধ্যে ১১২ মেট্রিকটন চাল দেশে প্রবেশ করেছে। আরো চাল আসবে। আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম অনেক কমে আসবে। বন্দরে আসা চালগুলো এখনো খালাস করা হয়নি। সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে খালাস করা হবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন চালের আমদানি মূল্য পড়েছে ৩৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ২৯-৩০ টাকা হচ্ছে। সরকারি রাজস্ব আরো চার টাকা যোগ করলে প্রতি কেজিতে পড়ছে ৩৪ টাকার মতো। বেশ কয়েকজন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানও এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানির জন্য এলসি করেছেন। তাদের চালও কয়েকদিনের মধ্যে দেশের বাজারে আসবে।
এদিকে সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, বিকেলে আমদানি হয়ে আসা ভারতীয় চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের পানামা ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করেছে। তবে ট্রাক থেকে চালগুলো এখনো খালাস করা হয়নি। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে আমদানিকারকেরা বন্দর থেকে তাদের চাল নিয়ে যেতে পারবেন।