অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা ঠিক হয়নি ভারতের : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ (বাংলাদেশের কম দামি পণ্যের ওপর ভারতের শুল্ক আরোপ) করে ঠিক করেনি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য তোফায়েল আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ২০১৭ সালের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশকে তামাক ও মদ ছাড়া সব পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে ভারত।
তোফায়েল বলেন, ‘ভারত অনেক পণ্য রপ্তানির ওপর সাড়ে ১২ শতাংশ হারে কাউন্টারভেলিং শুল্ক নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’ অবিলম্বে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশে যেসব পণ্য রপ্তানি করে আমরা যদি সেসব পণ্যে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করি, তা হলে তো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলো না।’ তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে তুলে ধরেছে। আবারও বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করতে আন্তরিক হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের পরামর্শ গ্রহণ করে সরকার কাজ করছে। চাহিদা মোতাবেক সরকার ব্যবসায়ীদের প্রাজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বিব্রত হন বা ক্ষতিগ্রস্ত হন, এমন কোনো পদক্ষেপ সরকার নেবে না।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার ক্ষমতা নিলে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের চাপ থেকে রেহাই পাবে। পণ্যের বহুমুখীকরণ ও রপ্তানিসহ বাণিজ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতে ব্যবসায়ী এবং বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলেন তিনি।
ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনসহ নতুন বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রপ্তানির লক্ষ্য অর্জনে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে গ্যাসসহ পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ, মহাসড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণ এবং রাজধানীর যানজট নিরসনে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণেরও প্রস্তাব দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ডিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট হোসেইন এ সিকদার, সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম রেজাউল কবীর।