বিদেশে যাবে বাংলাদেশের বালু, ঘনফুট ১ টাকা
সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে বালু রপ্তানির জন্য উত্তোলিত বালুর মূল্য প্রতি ঘনফুট এক টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সভার সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘নৌযান চলাচল প্রবাহ-উপযোগী ঠিক রেখে এবং নদীর নাব্যতা যথাযথ রেখে যমুনা নদীর প্রস্তাবিত স্থান থেকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক আপাতত ছয় মাসের জন্য বালু উত্তোলন করা যাবে। তবে কোনোভাবে পরিবেশের বিরূপতা পরীলক্ষিত হলে তা বন্ধ রাখতে হবে।’ মন্ত্রী জাতীয় স্বার্থে সময় দীর্ঘায়িত না করে যমুনা নদীর প্রস্তাবিত স্থানে নদী ড্রেজিং ও ড্রেজিংকৃত বালু বিদেশে প্রতি ঘনফুট সাধারণ বালু ১ টাকায় রফতানিতে সংশ্লিষ্ট আবেদিত প্রতিষ্ঠানকে তৎপর থাকার পরামর্শ দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লি. নিজ খরচে প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য যমুনা নদী ড্রেজিং এবং ড্রেজিংকৃত বালু সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে রপ্তানীকরণ বিষয়ে পানিসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে। গত ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরীক্ষামূলকভাবে বালু উত্তোলন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লি. কর্তৃক বিদেশে বালু রপ্তানির বিষয়টি জাতীয় বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যমুনা নদীর সংশ্লিষ্ট অংশে সমমানের বালুর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়াদি বিবেচনা করে প্রতি ঘনফুট বালু কত মূল্য নির্ধারণ করা যায় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক তথ্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ, চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ, ডিজি পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডিজি-ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সিনিয়র পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি ঘনফুট বালুর মূল্য এক টাকায় নির্ধারণ করা হয়।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লি.-এর চেয়ারম্যান এম এ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।