ভ্যাট ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব ঢাকা চেম্বারের
সরকার নতুন ভ্যাট আইনে সবার ওপর খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সংশোধন করে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে এনবিআর ও ডিসিসিআই প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব করেন আবুল কাসেম খান।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের কাছে ডিসিসিআই সভাপতি তাঁদের ৩৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
আলোচনা সভায় মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ট্যাক্স ক্যাম্প করতে চাই। যাতে করে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই ট্যাক্স জমা দিতে পারেন এবং ট্যাক্স প্রদানে উৎসাহিত হন।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এনবিআর এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের আয়কর মেলা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন উদাহরণ হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘শুধু কথা বলে তো জাতি উপকৃত হবে না। কথার সঙ্গে কাজও করতে হবে। আর কথাকে কাজে রূপান্তর করতে পারলে জাতি উপকৃত হবে।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে নজিবুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে যে দূরত্ব আছে সেটা কমাতে চাই। আমরা প্রয়োজনে একে অন্যের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। আগামীতে এনবিআরে যেসব নতুন কর্মকর্তা আসবেন তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের চেম্বারগুলোতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান যেসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তার মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা এবং ৫০ লাখ থেকে এক কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত ৩ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব দেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, নারী ও ৬৫ বছর-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চার লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ক্ষেত্রে চার লাখ ৫০ হাজার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবনার ক্ষেত্রে যুক্তি দেখান যে এখন জীবিকা নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা এ প্রস্তাব করছেন।
ডিসিসিআই সভাপতি নতুন ট্যাক্স আইনে সন্তানদের শিক্ষা ভাতা সংযোজন করার প্রস্তাব দেন। সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জন্য বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা করে সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা কর অব্যাহতি রাখার প্রস্তাব করেন।
আলোচনা সভায় ডিসিসিআইর সহসভাপতি হোসেন এ শিকদার, পরিচালক আসিফ এ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম, ইমরান আহমেদ, আতিক-ই-রাব্বানী, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, মামুন আকবর, মো. আলাউদ্দিন মালিক এবং মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির ছিলেন।