রপ্তানি বাড়াতে সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উগান্ডার রাষ্ট্রদূতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উগান্ডায় বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ জন্য উগান্ডা সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত (বাংলাদেশের সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত) উগান্ডার হাইকমিশনার এভিজাভেদ পার্ল নাপেওয়াক সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন।
বাসস জানায়, উগান্ডায় বাণিজ্য বাড়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, উগান্ডায় বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক, তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাটের তৈরি পণ্য ও প্লাস্টিকসামগ্রির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সেখানে কৃষি খাতে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। দেশটির সরকার চাইলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যমেলা এবং বি টু বি (বিজনেস টু বিজনেস) আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে ডিউটি ফ্রি বাজার সুবিধা থাকা একান্ত প্রয়োজন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশের ওষুধজাত পণ্যের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনুকূলে টিআরআইপিএসের কতিপয় শর্তাবলি রহিতকরণের সময়সীমা ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিতকরণের চেষ্টা চলছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এর মেয়াদ শেষ হবে। বালি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, বিশেষ করে সেবামূলক খাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ওয়েভার প্রথা চালু হলে এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং উগান্ডা উভয় দেশ উপকৃত হবে।
দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে উগান্ডার সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ উগান্ডায় সিরামিক, তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাটের তৈরি পণ্য এবং প্লাস্টিকসামগ্রি রপ্তানি করেছে। উগান্ডা থেকে বাংলাদেশ মূলত তুলা আমদানি করছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ উগান্ডা থেকে ৬১ কোটি মার্কিন ডলার দামের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে সেখানে ২৪ কোটি দুই লাখ মার্কিন ডলার দামের পণ্য রপ্তানি করেছে। সেখানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৩৬ কোটি আট লাখ মার্কিন ডলার হলেও আমদানীকৃত তুলা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
উগান্ডায় অনুষ্ঠিত বাণিজ্যমেলায় অংশ গ্রহণ করে এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিনিময়ের মধ্যে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. শওকত আলী ওয়ারেছি এবং ঢাকায় নিযুক্ত উগান্ডার অনারারি কনস্যুল আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভেয়েজি এর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।