পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/05/photo-1436081112.jpg)
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে ও সিনথেটিকস পণ্যের ব্যবহার পরিহার করে পরিবেশদূষণ রোধকল্পে ‘পণ্যের মোড়কীকরণে পাটপণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ প্রণয়ন করেছে। আইনটি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। আজ রোববার সংসদে সরকারি দলের মো. আবুল কালামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক বলেন, আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ-সংক্রান্ত পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার মুদ্রণপূর্বক চাতালকল, চালের আড়ত, পরিবহন ও জনবহুল স্থানে পরিদর্শন এবং জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সারা দেশে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকা ও টেলিভিশনে নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রচার এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাটপণ্য ব্যবহারের বিষয়টি জনগণকে অবহিত করা হয়েছে।
পাটমন্ত্রী বলেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থায় চিঠি দিয়ে উল্লিখিত বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তমন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধি ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে পাটের বহুমুখী পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরে এর ব্যাপক প্রচার ও ব্যবহার বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোয় ‘জুট জিও-টেক্সটাইল’-এর অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্মাণ উপকরণ হিসেবে রেইট শিডিউলে অন্তর্ভুক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পাটপণ্যের ব্যবহার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’-এর মাধ্যমে নতুন নতুন বহুমুখী পাটপণ্য উদ্ভাবন, দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় প্রদর্শন ও বিপণনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জেডিপিসি সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, উপকরণ সরবরাহ এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন ও বাজারজাতকরণে সহায়তা দিয়ে থাকে।
পাটমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে জুট-জিও-টেক্সটাইল, পাট ও পাটপণ্যে বহুমুখী ব্যবহার এবং পাটসংশ্লিষ্ট আইনকানুনের ওপর একটি পাঠ্যক্রম সন্নিবেশ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে অনুরোধ করা হলে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পাটপণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ও চাহিদা বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের পাটের তৈরি ব্যাগে বই বিতরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবেচনা করছে।
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।