সোনার দাম পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/20/photo-1437375874.jpg)
চলতি বছর চীনে সোনার মজুদ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কমবে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বাড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সোনা বিক্রি বাড়িয়েছেন। এতে বর্তমানে সোনার দাম ৪ শতাংশ কমে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, আজ সোমবারও এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে সোনার দামে তীব্র নিম্নগামী প্রবণতা দেখা গেছে। চীনের সাম্প্রতিক সোনা মজুদের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের পর এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এশিয়ার নগদ টাকার বাজারে (স্পট) আজ সোনার আউন্সপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৮ ডলার পাঁচ সেন্ট। এটি ২০১০ সালের মার্চের পর সোনার সর্বনিম্ন দাম।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়াতে পারে। মূলত এ অনিশ্চয়তা থেকে নিরাপদে থাকতে বিনিয়োগকারীরা সোনা বিক্রি করে নগদ অর্থ তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু ২০১০ সালের ২৬ মার্চের পর আজই সোনার ন্যূনতম দাম এক হাজার ১০০ ডলারের নিচে নেমেছে।
প্লাটিনামের দাম আজ পড়েছে ৫ শতাংশ। এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময় থেকেও দুর্বল।
গত শুক্রবার বিশ্বের বৃহত্তম সোনার ভোক্তা দেশ চীন জানায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশটি ৫৭ শতাংশের বেশি সোনা মজুদ করতে পেরেছে। তবে বিশ্লেষকরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলেন, তার চেয়ে এই অঙ্ক অনেক কম।
বর্তমানে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ রয়েছে সোনার মজুদ। তবে ২০০৯ সালের জুনে এর হার ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় এ সংস্থা সুদের হার চলতি বছর বাড়াবে বলে কংগ্রেসকে নিশ্চিত করলে ডলার শক্তিশালী হতে থাকে। এতে সোনার দরপতন হতে শুরু করে।
এ পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান গোল্ড মাইনারসের শেয়ারের দামেও বড় পতন দেখা গেছে। দেশটির বাজারে গত কার্যদিবসের লেনদেনে এর দাম ১৩ শতাংশ কমেছে। আর রেগিস রিসোর্সেস, নর্দার্ন স্টার রিসোর্সেস ও নিউকেস্ট মাইনিংয়ের শেয়ারের দাম গড়ে ৮ শতাংশ কমেছে।