ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/30/photo-1438253538.jpg)
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার লেনদেন কমেছে ৩৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
বিন্যস্তকরণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) পর থেকে সিএসইতে লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষে নেওয়া হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন সমন্বয়ও আনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বর্তমানে সিএসই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করছে। এটা লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তবে বাজারসংশ্লিষ্ট কারো কারো মতে, সিএসইতে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেশি সেসব শেয়ারের দাম বাড়লে স্টক এক্সচেঞ্জটির লেনদেনে প্রভাব ফেলে। এতে কোনো কোনো দিন অনেক লেনদেন কমে। কোনো কোনো দিন তুলনামূলক লেনদেন বাড়ে। আবার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কেনাবেচা বাড়ালেও সিএসইর লেনদেনের পরিমাণ বাড়ে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ঈদের আগে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় না থাকায় শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল না। আর ঈদের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা এবং ইতিবাচক আয়ের খবরে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছ। এতে শেয়ারবাজারে সূচক বেড়েছে।
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বর্তমানে দীর্ঘ সময়ের পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগের ঝোঁক সৃষ্টি হয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার মোট ৩১৪ টি কোম্পানির ১৬ কোটি ২৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৭২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৬২৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৬ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা কম। লেনদেন হওয়া ৩১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আজ আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৪.৪০ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭৯২.৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১৪.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৮৮৩.৯১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৫.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১৮৯.৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি বেশি। লেনদেন হওয়া ২৪৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ৯৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির দাম। সিএসইর সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে টাকার পরিমাণে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো : লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, শাশা ডেনিম, বেক্সিমকো ফার্মা, আইডিএলসি, বেক্সিমকো লিমিটেড, অলিম্পিক একসেসরিজ, গ্রামীণফোন, ফার কেমিক্যাল ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
ডিএসইতে দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো : বিডি ফাইন্যান্স, জেমিনি সি, কাশেম ড্রাইসেল, নর্দার্ন জুট, ন্যাশনাল টিউবস, জিপিএইচ ইসম্পাত, আইডিএলসি, মিরাকল ইন্ড্রাস্ট্রিজ, জেএমআই সিরিঞ্জ ও মিথুন নিটিং ।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো : বিডি ওয়েল্ডিং, বে-লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, আইসিবি ফার্স্ট এনআরবি, রি-পাবলিক, সালভো কেমিক্যাল, পিপলস লিজিং, সোস্যাইল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, ফার্স্ট ফাইন্যান্স ও আরএন স্পিনিং ।