চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য আবশ্যিকতা ভুলে যাওয়া হচ্ছে : জিল্লুর রহমান
নতুন বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তবে বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কার করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটা প্রবণতা আমরা দেখেছি, গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য মধ্যম সময়ের যে আবশ্যিকতা সেটা অনেক সময় ভুলে যাওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম ক্লাবে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
‘২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আলোচনায় আরো অংশ নেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ম তামিম প্রমুখ।
সরকারের নীতি নির্ধারক মহল বিদ্যমান অবকাঠামোয় সংস্কার আনার চেয়ে নতুন বন্দর নির্মাণে বেশি আগ্রহী বলে মনে করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি।
পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়, বস্তবায়নের দিকে সরকারকে বেশি মনোযোগী হতে হবে বলে মনে করেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে আগে খেয়াল দেওয়া উচিত।
তৈরি পোশাকশিল্পে বিরাজমান সমস্যা এবং এ থেকে উত্তরণে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা। এ ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থে নতুন নতুন পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনাসহ বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকারের সুপারিশ করেন বক্তারা।