রপ্তানিতে লক্ষ্যপূরণে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে বিজিএমইএর লক্ষ্যপূরণে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, ‘এ খাতে আমার সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলে আমি অঙ্গীকার করছি। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো উন্নতি করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবনে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বার্নিকাট এ কথা বলেন।
সভায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের চিত্র, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির চিত্র ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
বার্নিকাট বলেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মসংস্থান বাড়ায় দেশের সামাজিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভালো কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে।বাংলাদেশের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে বার্ষিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানিতে বিজিএমইএর লক্ষ্য পূরণে আমরা সহায়তা করে যাব। এ ক্ষেত্রে আমার সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলে আমি অঙ্গীকার করছি।’
শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিজিএমইএকে আরো কাজ করতে হবে বলে মনে করেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো যে, ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টরিগুলো এরই মধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। নতুন পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। দুই শতাধিক শ্রমিক ইউনিয়ন স্বীকৃত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিকার প্রচেষ্টা চলছে এবং পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রশংসা কুড়িয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমি মনে করি, বাংলাদেশে যেসব প্রচেষ্টা চলছে তা বিশ্বে অতুলনীয়।
সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বার্নিকাট বলেন, ‘ফ্যাক্টরিগুলোতে বাংলাদেশের শ্রম আইন কার্যকরভাবে মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যে ফ্যাক্টরিগুলো পরিদর্শন এখনো সম্ভব হয়নি, সেগুলোতে পরিদর্শন সম্পন্ন করতে হবে। মালিকদের অবশ্যই শ্রমিক সংগঠন ও ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো সম্পন্ন হয়নি, সেগুলোও শেষ করতে হবে জানিয়ে বার্নিকাট বলেন, ‘এ জন্য কারখানার মালিক, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে। তাহলে, আমি আবারও অঙ্গীকার করছি, আমার সরকার আপনাদের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ড সুনাম অর্জন করতে হবে। তাহলেই আপনারা একদিন এক নম্বর রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে রূপ লাভ করতে পারবেন।’