চামড়াশিল্প খাতের রপ্তানিতে আয় কমেছে
চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে। এ সময়ের জন্য এ খাতের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় পাঁচ হাজার ৪৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে পাঁচ হাজার ৩০৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ।
গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) প্রথম সাত মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় পাঁচ হাজার ৩৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত অর্থবছরের এ সময়ের চেয়ে চলতি বছরের একই সময় এ খাতে রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল নয় হাজার ৪৪ কোটি আট লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নয় হাজার ৭০২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শুধু চামড়া রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তবে এ সময়ে আয় হয় এক হাজার ২৯৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে চামড়া রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল এক হাজার ৯৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময় আয় ৩৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শুধু চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় এক হাজার ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্য রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ১৮৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে এ সময়ে আয় হয় এক হাজার ৬৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের এ সময়ে আয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় দুই হাজার ৪৮১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ সময়ে আয় হয়েছে দুই হাজার ৩৭৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এ সময় চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল দুই হাজার ৩৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এবার দশমিক ৯ শতাংশের বেশি আয় কমেছে।