সংযুক্ত আরব আমিরাতে বড় হচ্ছে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য রপ্তানি থেকে আয় বাড়ছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশি খাদ্যের বাজার বড় হচ্ছে।
খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে প্রতিবছর ৩০ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা এক হাজার ৪৪০ কোটি টাকার খাদ্যপণ্য রপ্তানি হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। তারাই মূলত বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বড় গ্রাহক।
দুবাইয়ে আয়োজিত গাল্ফফুড প্রদর্শনীতে প্রায় প্রতিবছরই অংশ নেয় বাংলাদেশ। রোববার গাল্ফফুড, ২০১৬-তে বাংলাদেশের খাদ্য খাতের ২০ কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এবার বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নে জুস, পানীয়, স্ন্যাকস, মিষ্টি ও মসলা প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ মেলায় অংশ নিতে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার দুবাইয়ে এই প্রদর্শনী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এস বদিরুজ্জামান ও কমার্শিয়াল কনস্যুলার এ কে এম রফিক আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এস বদিরুজ্জামান বলেন, বিশ্বের কাছে খাদ্যে স্বনির্ভর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমরা শুধু খাদ্য উৎপাদনই করছি না। খাদ্যপণ্য রপ্তানির জন্য রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এ কে এম রফিক আহমেদ বলেন, ‘দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান দ্রুত বাড়ছে। এই শিল্প থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের এ খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ। দেশের ৬৩ শতাংশ শ্রমিক খাদ্য খাতে কাজ করছে।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, দেশের রপ্তানি হওয়া খাদ্যপণ্যের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, হিমায়িত মাছ, চিংড়ি ও সবজি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে বিশ্বে তিন লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার রয়েছে।