ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় ২৭৩৪ কোটি টাকা বেড়েছে
চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের পণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের এ মাসে এর পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ হাজার ৮৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) এ মাসে এর পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।এ হিসাবে আগের অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বা দুই হাজার ৭৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় এক লাখ ৬২ হাজার ৪৯৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রপ্তানিতে আয় প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ হাজার ৮৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার ৭৩৪ কোটি ৪০ লাখ বা ৫ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে তৈরি পোশাকের নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে ৬৯ হাজার ১৪৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। ওভেন খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৭৫ হাজার ৮৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে হিমায়িত খাদ্যপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে দুই হাজার ৯৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
এ ছাড়া কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্য ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানিতে আয় ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে।
গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্য ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও পেট্রোলিয়াম জৈব পণ্যের রপ্তানি আয় প্রায় ৫৪২ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া রাবার ও রাবার পণ্য রপ্তানিতে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ, প্রকৌশল পণ্য ২৫ শতাংশ দশমিক ৪২ শতাংশ, হস্তশিল্প ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ, ছাপা ও মুদ্রণসামগ্রী ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় ৬৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।