ভারত থেকে তুলা আমদানিতে প্রয়োজনে চুক্তি করা হবে
ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তুলা আমদানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে, তা দূর করতে ভারতের হাইকমিশন দেশটির কটন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। প্রয়োজনে এ ক্ষেত্রে একটি চুক্তি করা হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কটন ফেস্ট, ২০১৬’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী, বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) প্রেসিডেন্ট বাদশা মিয়া, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবসায়ীদের ঝামেলায় পড়তে হয়। আকস্মিকভাবে তুলা রপ্তানি বন্ধ, ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকারসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন (৫০০ কোটি ডলার) ডলার পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে তুলা আমদানি করতে হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট আমদানির ৪৯ শতাংশ ভারত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু তুলাই নয়, অন্যান্য পণ্যের কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্য আমদানির দিক থেকে ভারত দ্বিতীয় (৬ বিলিয়ন ডলার), চীন হচ্ছে প্রথম (৭ বিলিয়ন ডলার)।
তুলা আমদানির সমস্যা শিগগিরই দূর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ আসে টেক্সটাইল ও পোশাক খাত থেকে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির ব্যবধান বেশি হলেও দেশটি ব্যবসা-বাণিজ্যের বৃহৎ অংশীদার।
ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী আমদানি ছাড়াও স্পিনিং মিলের বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করা হয়।
২০১০ সালে দেশের মোট তুলার চাহিদার ২২ শতাংশ আমদানি করা হয়। ২০১১ সালে ৩৮ শতাংশ, ২০১২ সালে ২৭ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৩৩ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৮ শতাংশ ও ২০১৫ সালে ৪৯ শতাংশ তুলা আমদানি করা হয়।