একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিওর আবেদন শুরু ১১ এপ্রিল

একমি ল্যাবরেটরিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীরা আগামী ১১ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন জমা দিতে পারবেন। স্থানীয় ও প্রবাসী উভয় বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোম্পানিটির আইপিওর শেয়ারের জন্য ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকে আবেদন ও চাঁদার অর্থ জমা দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির পুরোনো বিধি অনুযায়ী, ইলেকট্রনিক বিডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারদর নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু নতুন বিধি অনুযায়ী, ১০ শতাংশ কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রবাসীদের কাছে শেয়ার বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। এতে কোম্পানিটির শেয়ারদর নির্ধারিত হয়েছে ৭৭ টাকা।
আইপিওতে একমির পাঁচ কোটি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দুই কোটি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটায় তিন কোটি শেয়ার বরাদ্দ ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা সংশোধন করে সাধারণ ও প্রবাসীদের কোটায় দুই কোটি শেয়ার বরাদ্দ করে। ইলেকট্রনিক বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি তিন কোটি শেয়ার বরাদ্দ দেন।
গত পাঁচ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, একমির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা সাত পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া হিসাব বছরে ইপিএস ছিল পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা।
আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে তিনটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইপিওর খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।