টানা পাঁচবার বাড়ল সোনার দাম
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/04/photo-1462357547.jpg)
চলতি বছর টানা পাঁচবার সোনার দাম বাড়ালেন ব্যবসায়ীরা। এখন দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ৪৭ হাজার ৪১৪ টাকা। এ ক্ষেত্রে ভরিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১২২৫ টাকা।
বরাবরই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারের সোনার দামের সমন্বয় করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ভাষ্য, সোনা আমদানিতে শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ ও পার্শ্ববর্তী দেশে দাম বাড়ায় দেশে পণ্যটির দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বাজুসের আজ বুধবারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম সোনার দাম চার হাজার ৬৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম তিন হাজার ৮৮৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম তিন হাজার ৩১৫ টাকা, সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম দুই হাজার ৩৬৫ টাকা ও ২১ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম রুপার দাম ১০০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স (২.৪৩০৫ ভরি) সোনা এক লাখ দুই হাজার ৩৪৪ টাকায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে এক ভরি সোনার দাম ৪২ হাজার ১০৮ টাকা। এ হিসাবে দেশের বাজারে সোনার দাম ২২ ক্যারেটের ভরিতে পাঁচ হাজার ৩০৬ টাকা বেশি নির্ধারণ করেছে বাজুস।
এর আগে গত ৭ মার্চ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪৬ হাজার ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তার আগে ভরিপ্রতি দাম ছিল ৪৪ হাজার ৯৬৫ টাকা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ছিল ৪৪ হাজার ৯৬৫ টাকা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম বাড়ায় বাজুস। তখন পণ্যটির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে প্রায় ছয় হাজার টাকা বেশি নির্ধারণ করে বাজুস।
বাজুসের দাবি, সরকার প্রতি ভরি সোনা আমদানির ওপর তিন হাজার টাকা কর আরোপ করেছে। আর বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে মূসক দিতে হয়। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার টাকা চলে যায়। আর মুনাফার বিষয়টিও ভাবতে হয়। তাই দাম বাড়াতে হয়।
তবে সোনার দাম সমন্বয় না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করেন ক্রেতারা।
২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর ও ৯ নভেম্বর এক হাজার ২২৫ টাকা করে টানা দুবার সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়। তবে তখনো আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বেশি ছিল। কখনোই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারের দামের সমন্বয় করছেন না ব্যবসায়ীরা।