৫৬ শতাংশ পোশাক কারখানা ভবনের ত্রুটি সংশোধন
অ্যাকর্ডের তালিকাভুক্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের কারখানাগুলোর মধ্যে ৫৬ শতাংশ তাদের ভবনের অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও অবকাঠামোগত নিরাপত্তাজনিত ত্রুটি শতভাগ সংশোধন করেছে।
আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল লা ভিঞ্চিতে বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের তৃতীয় বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জোটের প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক ব্র্যাড লোয়েন।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাড লোয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ করতে বিশ্বব্যাপী পোশাক ব্র্যান্ড, রিটেইলার, দুটি গ্লোবাল ইউনিয়ন ও পোশাকশিল্প সহযোগীদের নিয়ে একটি অভূতপূর্ব চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২১০টি কোম্পানি ও এক হাজার ৬০০ কারখানা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তারা সম্মিলিতভাবে পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।’
লোয়েন বলেন, ‘২০১৩ সালের ১৫ মে অ্যাকর্ড প্রতিষ্ঠার পর ওই বছরের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫৫০টি কারখানার অগ্নি, বিদ্যুৎ ও ভবনের নিরাপত্তার বিষয় নজরদারিতে আনা হয়েছে। আরো ৭৫টি প্রতিষ্ঠানে কাজ চলমান রয়েছে। তালিকাভুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬ শতাংশ তাদের ভবনের ত্রুটি সংশোধন করেছে বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভবন পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোতে বৈদ্যুতিক লাইনে ৩২ হাজার ৭২৬টি ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৩৬৪টি ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে। অগ্নি-সংক্রান্ত ত্রুটি চিহ্নিত করা হয় ৩২ হাজার ৩৩টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ১৮১টি ত্রুটির সমাধান করা হয়েছে। অবকাঠামোগত ১৯ হাজার ৪১৫টি ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার ১৬২টি ত্রুটি সংস্কার করা হয়েছে।
অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, তাতে এমন নিরাপত্তা কমিটি গড়ে উঠবে, যেগুলো নিরাপত্তা বজায় রাখা, তত্ত্বাবধান ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পাদনে সক্ষম হবে বলে আশা করছি।’
পোশাক কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের ত্রুটি চিহ্নিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের ১৫ মে থেকে কাজ করছে অ্যাকর্ড। ১০০ প্রকৌশলীসহ দুই শতাধিক কর্মী নিয়ে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনের ত্রুটি চিহ্নিত করে তার সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়। ভবনগুলো ঝুঁকিমুক্ত হলে সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা।
অ্যাকর্ডের চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা, ট্রেড ইউনিয়ন। অ্যাকর্ড স্টিয়ারিং কমিটিকে তত্ত্বাবধায়ন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।