ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ করার প্রস্তাব
আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই অঙ্ক ঘাটতির প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৭ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়। এদিন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অঙ্কের এ বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির চার দশমিক ছয় শতাংশ। বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে প্রধান ভরসাস্থল হিসেবে ব্যাংক খাত বেছে নিয়েছে সরকার।
ঘাটতি পূরণে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এই অঙ্ক চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এটি বাড়িয়ে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা ঠিক করা হয়েছে।
বাজেটে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর আহরণ করবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এই প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।