বাজারে ৩ হাজার কোটি টাকার ইসলামি বন্ড ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
শিগগিরই বাজারে বাংলাদেশ সরকারের পঞ্চম বিনিয়োগ সুকুক বা ইসলামি বন্ড আনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মার্চ মাসের একটি সামাজিক প্রকল্পের বিপরীতে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ভিত্তিক প্রকল্পের বিপরীতে এই সুকুক ইস্যু করা হবে।’
দেশি-বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে উৎসাহিত করতে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বীমা কোম্পানির অনুকূলে ৭০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজের অনুকূলে ১০ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্সুরেন্সের অনুকূলে ২০ শতাংশ সুকুক বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে এই সুকুক ইস্যু করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সুকুক কেনায় সকল তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে নির্ধারিত শ্রেণি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসরত ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে।
আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কার্যরত যে কোনো ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টের বৈদেশিক মুদ্রা বা টাকার মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। সুকুকে বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং খাতের তারল্যকে সরকারের ঘাটতি অর্থায়নে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড বা সুকুক চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যারা সুদযুক্ত টি-বিল, বন্ড ও অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে আগ্রহী না, তাদের অব্যবহৃত অর্থ বিনিয়োগে সুকুককে ভালো মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।