প্রস্তুত হচ্ছে ডাকসু ভবনও
ভবনটিতে চারদিন ধরে কাজ করছেন মিস্ত্রি শাহজাহান মিয়া। একাধিক কক্ষসহ ভবনটির ভেতরের অংশে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। শাহজাহান মিয়া জানেন না এটা কীসের ভবন বা কী কাজে ব্যবহার করা হয়। এটা শুনেছেন, দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ভবনের একাধিক কক্ষ অব্যবহৃত।
ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ কেন্দ্রের। যা ডাকসু ভবন নামে পরিচিত। শাহজাহান মিয়া দোতলায় কাজ করছিলেন। সেখানেই ডাকসুর ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএসের (সাধারণ সম্পাদক) কার্যালয়। এসব কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে চলছে সংস্কারকাজ।
কক্ষগুলো সংস্কার করতে আর কত দিন লাগবে জানতে চাইলে শাহজাহান বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হতে পারে।’
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে অচল থাকা ডাকসু সচল করতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা ডাকসু ভবনেরও সংস্কার করা হচ্ছে। ভবনের সেমিনার কক্ষ, ভিপি, জিএস, এজিএসের কক্ষসহ সব কয়টি কক্ষে কাজ করা হচ্ছে। সভা সেমিনারের জন্য আনা হয়েছে নতুন চেয়ার।
এরইমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে ডাকসু সংগ্রহশালা। পুরো কক্ষটিতে নতুন টাইলস বসানো পাশাপাশি ভেতরেও রং করা হয়েছে। ঐতিহাসিক সংগ্রহশালাটি ধুয়ে মুছে আবার সাজানো হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। সংগ্রহশালার দায়িত্বে থাকা মো. সোহেল ইসলাম বলেন, ‘নতুন করে ডাকসু নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় সংগ্রহশালায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।’
সংস্কারকাজের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন ডাকসুর সিনিয়র পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ডাকসু সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। দিনরাত সবসময় কাজ চলছে। ভেতরের কাজ শেষ হলে পুরো ভবন রং করা হবে।’