রোকেয়া হলে ভিপি প্রার্থী নুরের ওপর হামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের (বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ) প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী নুরুল হক নুরসহ তিন প্রার্থী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী রাশেদ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রোকেয়া হলে ভোট কারচুপি হচ্ছে—এমন অভিযোগ পেয়ে নুর এবং অন্য বিরোধী প্রার্থীরা সেখানে যান। হলের শিক্ষার্থীরা একটি কক্ষ ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে তিনটি ব্যালট বাক্স আগে থেকে ভরে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিক্ষক ও নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে গেলে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন নুর ও তাঁর সঙ্গে থাকা দুই প্রার্থী।
আজ সোমবার ভোট চলাকালে রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন জিএস প্রার্থী রাশেদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যে কক্ষে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে, সেখানে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগ মনোনীত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুর। কক্ষটি দেখে ছাত্রলীগের নেতারা কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু ছাত্রদলের অনিক জানান, বাক্স সিলগালা নেই। তখন নুর কথা বলতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। এতে তিনি আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রোকেয়া হলে ভোট বন্ধ হয়ে যায়।
নুরুল হক নুরসহ অন্য আহতরা হলেন স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণী সেমন্তি খান ও শ্রাবণী শফিক দীপ্তি। এদিকে হামলা ও মারধরের পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন নুরুল হক নুর।
ডাকসু এবং হল সংসদের নির্বাচনে বেগম রোকেয়া হল ভোটকেন্দ্র থেকে তিনটি ব্যালট বাক্স সরিয়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এ অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে সকালে প্রায় এক ঘণ্টা পর ভোট গ্রহণ শুরু হয় এই হলে।
ছাত্রদল, বাম জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেন, রোকেয়া হলে গায়েব হওয়া তিনটি ব্যালট বাক্স সরিয়ে ফেলেছে ছাত্রলীগ।