অনশনে অনড় ঢাবির শিক্ষার্থীরা, যোগ দিলেন আরো দুজন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদে পুনরায় নির্বাচন দাবি করে শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যে বসে অনশন অব্যাহত রেখেছেন চার শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার সকালে তীব্র রোদের মধ্যে তাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ দিয়েছেন আরো দুজন। এই ছয়জনকে ঘিরে আছেন আরো বেশ কিছু শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই অনশন চালিয়ে যাবেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে এবং নতুন করে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অনশনে বসেন চার শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন- জগন্নাথ হল সংসদে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অনিন্দ্য মণ্ডল, শহীদুল্লাহ হল সংসদে সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শোয়েব মাহমুদ, মুহসীন হল সংসদে সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. মাঈন উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সংসদের ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাওহীদ তানজীম।
আজ বুধবার সকালে এই চারজনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিয়া ও আল মামুন তাহা নামে আরো দুজন।
অনশনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা অনিয়ম, কারচুপি ও পাতানো নির্বাচনের প্রতিবাদে অনশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় নির্বাচনের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের এই অনশনে যোগ দেবেন বলেও আশা করছেন তারা।
কেন্দ্রীয় সংসদের ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাওহীদ তানজীম কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যালট হলে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল নির্বাচনের দিন সকালে। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন রাতে ব্যালট হলে চলে গেছে। যার কারণে ওই রাতেই ব্যালটের কারচুপি হয়েছে। এসএম হল, এফ রহমান হলে গেইট লাগিয়ে দিয়েছে, ভিতরে ডুকতে দেয়নি। প্রতিটি হলে অনাবাসিকদের ভোট দিতে দেওয়া হইল না। এই ভণ্ডামির নির্বাচন আমরা বর্জন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন এই দায় স্বীকার না করছে, আমরা আমরণ অনশন করে যাব।
ভূতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল মামুন বলেন, ‘আমাদের বর্তমান দাবি, এই নির্বাচন বাতিল করতে হবে। পুনরায় নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করতে হবে। যারা এই ভোট জালিয়াতের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে মিডিয়ার সামনে স্বীকারোক্তি উক্তি দিতে হবে। না হলে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রাফিয়া বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়নি, এটা সবাই জানে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা অনশন করছি। আমাদের দাবি, এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে পুনর্নির্বাচন দেওয়া হোক। নির্বাচনের কারচুপির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।’