আমরণ অনশন রোকেয়া হলেও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে ওই হলের পাঁচ ছাত্রী। এর মধ্যে ডাকসু ও হলের চারজন প্রার্থী রয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাত ৯টা থেকে ওই নারী প্রার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। অনশনকারীরা হলেন— ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমি খিশা।
রাফিয়া সুলতানা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে রোকেয়া হল সংসদে সহসভাপতি (ভিপি); সায়েদা আফরিন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন থেকে হল সংসদে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস); শ্রবণা শফিক দীপ্তি স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে আর প্রমি খিশা হল সংসদে সদস্যপদে ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী ছিলেন৷ জয়ন্তী রেজা প্রার্থী ছিলেন না৷
অনশনকারীদের অভিযোগ, সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁরা আন্দোলনে নামেন। কিন্তু হল প্রশাসন তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায়, আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
রোকেয়া হলের ওই পাঁচ শিক্ষার্থী হল সংসদের পুনর্নির্বাচন ও হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার পদত্যাগ, ভোটে কারচুপির প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন।
সোমবার ডাকসু নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্রের পাশের একটি কক্ষ থেকে তিন ট্রাংকে ফাঁকা ব্যালট পেপার উদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট শুরু এবং তার এক ঘণ্টা পর আবার ভোট বন্ধ হয়। কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টায় ফের ভোট শুরু হয়।
এ ব্যাপারে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, তারা যেসব দাবি জানাচ্ছে, তা পূরণের এখতিয়ার আমার নেই। আমি কারও বিরুদ্ধে মামলা করিনি। অহেতুক মিথ্যা গুজব রটিয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।