প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত কথোপকথন যাচাই-বাছাই শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা হয়। সভা শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মাফরুহী সাত্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জেনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা একজন বিভাগীয় সভাপতি সম্বন্ধে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রক্টরের এ বক্তব্যকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলে মনে করি আমরা। এ ব্যাপারে দ্রুত যাচাই-বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা দাবি জানাচ্ছি।’
গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান চলাকালে মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও দুই রাউন্ড গুলি করে কিছু ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার কথোপকথন হয়। সেই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ এনটিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
ওই কথোপকথনের শুরুতেই প্রক্টর একজন ছাত্রলীগ নেতাকে বলেন, ‘চেয়ারম্যানরে ভালোমতো কইরা ধর। একবারে ধর। কিচ্ছু দায়িত্ব না, ওরে ধরে আটকাই থোও (রাখো) ওনে (ওখানে)। বল যে, এর বিচার না হইলে আমরা উঠব না।’
ছাত্রফ্রন্টের বিবৃতি
প্রক্টরের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার কথোপকথনের ঘটনায় আজ একটি বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্ট।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৮ ডিসেম্বর ফার্মেসি বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা এক ছাত্রলীগ নেতাকে উসকানিমূলক নির্দেশনা দিয়েছেন, যা পরে গোপন অডিওতে শোনা গেছে। প্রক্টরের এ ধরনের দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডে আমরা উদ্বিগ্ন।’
‘এ ছাড়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে অবস্থান করছে। প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সাহস পাচ্ছে। অবিলম্বে অস্ত্রধারীদের খোঁজে বের করে তাদের হল ও ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি’, যোগ করা হয় বিবৃতিতে।