এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, আজ প্রথম দিন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০টায়, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। একই সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) বাংলা-২ (১৯২১) ও বাংলা-২ (১৭২১) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূচি অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ মার্চ। কারিগরির লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ মার্চ। দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ১৪ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ মার্চ। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইলফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত রাখতে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। ১২ মার্চ পর্যন্ত এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।