ভোট নিয়ে ভিন্ন কথা শমসের-তৈমূরের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি দেড়শর বেশি আসনে দলীয় মনোনয়ন দিলেও নির্বাচন কমিশনের বাছাইয়ের পর ভোটের মাঠে টিকে থাকেন ১৩৫ প্রার্থী। দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে ভোট করছেন কিংস পার্টি নামে পরিচিতি পাওয়া এ দলের প্রার্থীরা। তবে দলটির চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ছাড়া আর কেউই আলোচনায় নেই। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে আপোসের অভিযোগ এনে ইতোমধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলটির অনেক প্রার্থী।
সবশেষে আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটের দিনে এসে ভিন্ন কথা বলছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী সমশের মবিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।
ভোট দিয়ে যা বললেন সমশের মবিন চৌধুরী
সকালে সিলেট নগরীর আম্বরখানা বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘গত দুই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ায় মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এবার ভোট সঠিক হবে, গণনা হবে। দিনের শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ একটা সুষ্ঠু নির্বাচন পাবে।’
নিজ এলাকার নির্বাচনের পরিবেশ প্রসঙ্গে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সহমর্মিতা রয়েছে। জনগণ ভোট দিতে আসবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে। জনগণের রায়েই ফলাফল আসবে।’
কেন্দ্র পরিদর্শন করে যা বললেন তৈমূল আলম খন্দকার
সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপসি নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমার লোকজনের ওপর হামলা করা হচ্ছে। কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।’
তৈমূর আলম বলেন, ‘চনপাড়া কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে ঢুকতে দিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনকে আগেই বলা হয়েছে। তারা কোনো ভূমিকা নেয়নি। আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। নৌকা প্রার্থী টাকা বিতরণ করছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
তৈমূর আলম আরও বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী সমস্ত বিশৃঙ্খলা করছে। তবে আমি নির্বাচন চালিয়ে যাব। আমাদের প্রত্যেক প্রার্থী নির্বাচন করবে। আমরা দেখতে চাই প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার কতটুকু রক্ষা করতে পারেন।’