যাত্রাবাড়ীতে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভোটগ্রহণের শেষ দিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সামনে শহীদ ফারুক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রটি ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের আওতাধীন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনুর রশীদ মুন্না (নৌকা প্রতীক)। স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা (ট্রাক প্রতীক) ও কামরুল হাসান (ঈগল প্রতীক) আওয়ামী লীগের নেতা। হারুনুর রশীদ যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা এই আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
জানা যায়, দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব আলম যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার হচ্ছিল। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মোহাম্মদ ইউনুস, মো. বাবুল, মো. হাসান ও মোহাম্মদ নোমান আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রটির মূল ফটকের দায়িত্বে থাকা দুজন আনসার সদস্য বলেন, ট্রাক ও নৌকা প্রতীকের দুজন নারী সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, পরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে থাকা কারো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে আধা ঘণ্টার মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এ এস এম সাজেদুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ভোটগ্রহণ বন্ধ করেননি। যারা এসেছেন, তারা ভোট দিতে পেরেছেন।