নির্বাচনের দিন সারা দেশে বিভিন্ন অভিযোগে ৬১ মামলা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে দিনভর নানান অভিযোগে ৬১টি মামলা করেছেন প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল (বিচারিক) ম্যাজিস্ট্রেটরা। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মামলা দায়েরের পরে এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের মাধ্যমে ৬১টি মামলাই নিষ্পত্তি করা হয়। এতে অপরাধ বিবেচনায় মোট তিন লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং একজনকে পৃথক অভিযোগে দুই ও তিন বছরের (মোট পাঁচ বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেন, নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন।
দিনের বড় ঘটনা হলো চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল। পুলিশের এক ওসিকে হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন আচরণবিধি ভঙ্গের রেকর্ড থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে নৌকার এক সমর্থককে হত্যা করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনা নয়।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছে।