ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন খোকা
অবশেষে আদালতের রায় পাওয়ার ছয় দিন পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এস এম আনিছুর রহমান খোকা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্তে এক আদেশ জারি করা হয়েছে। রাত পৌনে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান।
এদিকে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকলেও বৈধ প্রার্থী ছিলেন না খোকা। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবুও হাল ছাড়েননি। উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। আদালত তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশনের সার্ভার স্টেশন। ব্যাক ডেটে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই সেখানে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বড় ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া আদালতের আদেশ পালন সম্ভব হচ্ছিল না।
এ নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জনে। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদ-পদবিধারী ব্যক্তি। বিজয়ের জন্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোটাদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন প্রতীক বরদ্দের দিন ২৩ এপ্রিল উচ্চ আদালতের রায় পান খোকা। সেই থেকে তাঁর (খোকা) প্রার্থিতা ঝুলে ছিল। নির্বাচন কমিশনের আদেশ পাওয়ার পর জেলা নির্বাচন অফিসে ডেকে এনে চিঠি দিয়ে তাঁর প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ রাত ৮টার দিকে চিঠি দিয়ে ব্যালটে মার্কাসহ খোকার নাম সংযুক্ত করার জন্য পত্র পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগে অনলাইনে যথাসময়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের চেষ্টা করেছিলেন খোকা। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত এক আদেশে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন। তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আদেশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি।
এদিকে টেলিফোন প্রতীকের পোস্টার ঝুলিয়ে হই চই ফেলে দেন খোকা। ভোটাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। অবশেষে আজ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এস এম আনিছুর রহমান খোকার প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হয়। সে মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়।