বিজ্ঞানী যখন আইনস্টাইন
আলবার্ট আইনস্টাইন সবসময়ের জনপ্রিয় আর সেরা বিজ্ঞানীদের একজন। পদার্থবিজ্ঞান চর্চায় তাঁর কাজ বিশাল। জার্মান এই বিজ্ঞানী গবেষণা পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তির অনেকখানি জুড়ে রয়েছে। তরুণ বিজ্ঞানী গবেষকদের কাছেও তিনি অনুসরণীয়। এই মহান বিজ্ঞানীর বিষয়ে বেশ কিছু বিষয় জেনে নাও। এগুলো নেওয়া হয়েছে শিশুদের মজার এক ওয়েবসাইট সায়েন্স কিডজ থেকে।
১. আইনস্টাইনের জন্ম ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ, মৃত্যু ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল।
২. জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর রয়েছে অসীম অবদান।
৩. ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান আর গণিতে তুখোড় ছিলেন আইনস্টাইন। প্রাকৃতিকভাবেই তাঁর ছিল কৌতূহলী ও বিশ্লেষণধর্মী মন।
৪. পড়ালেখা শেষ করার পর একটি পেটেন্ট অফিসে কাজ করতেন আইনস্টাইন।
৫. তাঁর আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় সূত্র হল E = mc². এই সূত্রের অর্থ করলে এমনটা দাঁড়ায়: শক্তি=ভর গুণ আলোর গতির বর্গ। অর্থাৎ কোনো বস্তু যদি আলোর গতির চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে তাহলে সেটি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
৬. থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্যও তিনি ছিলেন বিখ্যাত। এ বিষয়ে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে। একবার তিনি মজা করে বলছিলেন- আপেক্ষিকতা বিষয়টা হলো, আপনি যখন কোনো সুন্দরীর সামনে বসে থাকবেন তখন সময় দ্রুত চলে যাবে। যদিও সময় কিন্তু আপন গতিতেই চলে। আপেক্ষিকতা বিষয়টি কিন্তু এতটা সরল নয়। সে আরেকটু বড় হলেই বই পড়ে বুঝে নেওয়া যাবে। এটুকু বলে রাখি, আপেক্ষিকতা বিষয়টা কিন্তু চমৎকার!
৭. ১৯২১ সালে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
৮. থিওরি অব রিলেটিভিট আর E = mc² ছাড়াও আরো অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ব্রাউনীয় গতি, আনবিক গতির কোয়ান্টাম তত্ত্ব এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
৯. তাঁর বিখ্যাত উক্তি- তুমি কোনো কিছু দেখতে পাও কী পাও না, তা নির্ভর করে তুমি কোন সূত্র ব্যবহার করছ তার ওপর।
১০. সঙ্গীতের দারুণ ভক্ত ছিলেন এই বিজ্ঞানী। পদার্থবিদ না হলে সঙ্গীতজ্ঞ হওয়ারই স্বপ্ন ছিল তাঁর! ভালো বেহালা বাজাতেন এই ভুলোমনের বিজ্ঞানী।