বাংলাদেশের কোচ হতে রাজি হয়েও বেঁকে বসেন ফারব্রেস!
আলোচনাটা বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছিল—কে হচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ। এই আলোচনা যখন খুবই জোরালো, তখনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, চেনাজানা একজন কোচ দ্রুতই দায়িত্ব নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের। বোর্ডপ্রধান নিশ্চিত করে না বললেও শেষ পর্যন্ত জানা গেছে সেই কোচটি কে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সহকারী কোচ পল ফারব্রেসের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ খবর, পরিবারের কারণে তিনি নাকি বাংলাদেশে আসতে চান না।
ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে নাকি ফারব্রেসের সঙ্গে বিসিবির কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছিল। তাই চুক্তির কাগজপত্রও পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু হঠাৎই তিনি বেঁকে বসেন।
কেন তিনি আাসতে চাইছেন না, ব্যাপারটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, তাঁর পরিবার নাকি রাজি নয়। এ কারণেই তিনি আসতে চাইছেন না।
ফারব্রেস এর আগে শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলেন। তাঁর অধীনে দারুণ সাফল্য পেয়েছে দেশটি। শ্রীলঙ্কায় দুই বছরের দায়িত্বে এশিয়া কাপ ও আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালের এপ্রিলে কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ হন।
এর আগে ২০০০ সালে ফারব্রেস ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ইংল্যান্ড নারী দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার কোচ ট্রেভর বেলিসের অধীনে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার সময় দলটির সঙ্গেই ছিলেন।
অবশ্য বিসিবি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। রিচার্ড পাইবাস ও ফিল সিমন্স সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন। ক্রিকেটাররা চান না বলে পাইবাসকে নিতে চায়নি বিসিবি। তাঁরা এখন অন্য দলের কোচের দায়িত্বে।
এর পর অস্ট্রেলিয়ার জিওফ মার্শ, টম মুডি, জেমি সিডন্স ও স্টুয়ার্ট লকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এঁদের কেউই আসতে রাজি হননি।