নদীর নামেই হবে পদ্মা সেতুর নামকরণ
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নিজের নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় অবশেষে নদীর নামেই এই সেতুর নামকরণ করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত লিখনকে দেখতে গেলে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন সেজন্য সংসদ সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা তাঁর নামে এই সেতুর নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার প্রস্তাব করে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোনো সদস্যের নামে এ সেতুর নামকরণ করা হোক তা চাননি। তাই তিনি নদীর নামেই এ সেতুর নাম পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’
সরকারি চাকরিতে কোটার পক্ষে আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া কি আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা যা করেছেন তা আর কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারো কোন দাবি জানাতে হবে না। তবে কোনো বিষয় ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই তা দেখবেন।
শাহবাগের ব্যস্ততম রাস্তা অবরোধ করে কোটা বহালের দাবি জানানো প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি তারা কখনো করবেন না, তারা উঠে যাবে। তারা কারো উসকানিতে পা দেবে না।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বিএনপি। আর এখন তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কথা বলার অর্থ হলো ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।
ওবায়দুল কাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন লিখনের বিষয়ে বলেন, ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে বিরল রোগে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ৩১ বার তার হাড় ভেঙে গেছে। গত বছর সংবাদপত্রে এ ছেলেটির বিষয়ে জানার পর তার চিকিৎসার ভার তিনি নিজে গ্রহণ করেছেন। একবার তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আবারো হবে। এ রোগের চিকিৎসা একটু ব্যয় বহুল।
এ সময় কাদের বান্দরবানের থানচির একটি শিশু এবং ইডেন কলেজে এক পঙ্গু শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ভার নেওয়ার কথাও জানান।