সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ আজ শুক্রবার। বাদ জুমা এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
এরই মধ্যে ওই মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস ও লঞ্চে করে রওনা হয়েছেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মহাসমাবেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেবেন বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মহাসমাবেশ থেকে পীর সাহেব চরমোনাই জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন।
পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ শেষপ্রান্তে উপণীত হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে, ইসলামী আন্দোলন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
জনগণ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ করে রেজাউল করীম বলেন, আগামী দিনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রধান দুটি রাজনৈতিক জোটের যুদ্ধাংদেহী মনোভাব দেশের সর্বত্র এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মূলত, ক্ষমতাসীনরা নবম জাতীয় সংসদে একতরফাভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করায় এই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সংকট উত্তরণে সরকারি দলের প্রতি বারবার আহ্বান জানালেও সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষমতার শেষপ্রান্তে এসে সংকট আরো ঘণীভূত হচ্ছে। এতে জনগণ বিস্ফোরণম্মুখ হয়ে উঠছে।
ক্ষমতাসীন সরকার এবারও জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে রেজাউল করীম বলেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। দেশবাসী আর কোনো তামাশার নির্বাচন মেনে নেবে না। তাই আমাদের দাবি, সংসদের চলমান অধিবেশনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিল পাস করা হোক এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে একজন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। রাজনৈতিক নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসার আগুন যেভাবে ধেয়ে আসছে, তা যদি নির্মূল করা না যায়, তাহলে বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশের মতো আমাদের দেশেও গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। তার আলামতই দিন দিন প্রকটতর হচ্ছে। আর এ সুযোগে আমাদের দেশে বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী অপশক্তিগুলো ঘাঁটি গেঁড়ে বসার সুযোগ পাবে।