কিশোরগঞ্জে জাবি ছাত্রকে হত্যা, তিনজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্র এরশাদুল হক চয়নকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সাজা পাওয়া প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা গ্রামের আবদুল আউয়াল, আল আমিন ও সুফল মিয়া। এ তিনজনের মধ্যে আল আমিন ছাড়া অন্য দুজন পলাতক।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া সাত আসামি হলেন সিদলা গ্রামের আবদুল করিম, সাফিয়া খাতুন, আবদুল কাদির, সোহেল মিয়া, রিপা আক্তার, জহুরা খাতুন ও আবদুর রউফ ফকির। এদের মধ্যে সোহেল পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর দুপুরে হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের টান সিদলা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিরা দেশি অস্ত্র নিয়ে জাবি ছাত্র চয়নদের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। তাঁর মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তাঁদের রক্ষা করতে গেলে চয়নকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চয়নকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই চয়নের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
জহিরুল ইসলাম রতন জানান, এরশাদুল ইসলাম চয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিয়োগ পান। মারা যাওয়ার দুদিন পর চাকরিতে যোগদান করার কথা ছিল চয়নের। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলা চলাকালে আমিনুল হক ওরফে হিরা নামের এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।