আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাসক্ষেত্রের ২০টি উৎপাদনে রয়েছে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে এ পর্যন্ত ২৬টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২০টি উৎপাদনে রয়েছে।
নসরুল হামিদ গতকাল সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সন্ধানপ্রাপ্ত ছয়টি স্ট্রাকচার গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে তিনটি (সুন্দলপুর, শ্রীকাইল ও রূপগঞ্জ) স্ট্রাকচারে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। সুন্দলপুর ও শ্রীকাইলে মোট ১৯৬ দশমিক বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে সুন্দলপুর থেকে দৈনিক ৪ দশমিক এমএমসিএফ এবং শ্রীকাইল থেকে দৈনিক ৪০ এমএমসিএফ হারে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ছাড়া ২০১৫ সালের মার্চ থেকে বেগমগঞ্জ গ্যাসফিল্ড থেকে দৈনিক ৪ দশমিক ৫ এমএমসিএফ হারে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, অতি শিগগির রূপগঞ্জ গ্যাসফিল্ডটি উৎপাদনে আসবে।
সর্বোপরি বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দৈনিক উৎপাদন ছিল প্রায় এক হাজার ৭৪৪ এমএমসিএফডি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপে তা ৯৫৬ এমএমসিএফডি বেড়ে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ৭০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত হয়েছে। আবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলোর প্রাথমিক গ্যাস মজুদ ছিল ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ১২ দশমিক ৮০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট মজুদ রয়েছে আনুমানিক ১৪ দশমিক ৩২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।