রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে ২০১৩-১৪ সালে এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেমনই কোনো সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড হয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।

বিএসএস এক প্রতিবেদনে জানায়, মন্ত্রী আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি উপস্থিত ছিলেন।

রেল মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কুয়াশা বা অন্য কোন কারণে দুর্ঘটনটা হতে পারে। তা তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে। কিন্তু এখানে তো মিটারগেজের লাইন একটাই। মিটারগেজের লাইন মিটারগেজ ট্রেনই যাবে। এখানে স্টপেজও ছিল না, ক্রসিংয়েরও কোনো ব্যাপার ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘এখানে ডিরেইলমেন্ট হওয়ার কোনো কথা ছিল নয়। লাইন ক্লিয়ার দেওয়ার ব্যাপারে কারো কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে পয়েন্টম্যানের দায়িত্বে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি এরা অর্ধেক কাজ করে খেতে গিয়েছিল এ ধরণের একটা অভিযোগও রয়েছে।’

অগ্নিকান্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রী বলেন, ইঞ্জিনের তেল থেকে ইঞ্জিনে আগুন লাগতে পারে। কিন্তু অন্য বগির ভেতরে কিভাবে আগুন লাগলো, এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।

উল্লাপাড়ার পর দুটি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুর ও রেল লাইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লেন করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে দ্রুত সময়ে ঝূঁকিপূর্ণ রেল লাইন সংস্কারের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।