শুভ জন্মদিন মাহমুদউল্লাহ
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম একজন তিনি। এ দেশের ক্রিকেটে দারুণ অবদান রেখেও অনেকটা আড়ালে থেকে যান তিনি। মাশরাফি-সাকিবদের মতো আলোচনায়ও আসেন না। সেই মাহমুদউল্লাহর জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘আনসাং হিরো’ মাহমুদউল্লাহ।
১৯৮৬ সালের আজকের দিনে পৃথিবীর আলো দেখেন মাহমুদউল্লাহ। ক্রিকেটের প্রতি অদম্য ভালোবাসা নিয়ে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে ওয়ানডে দিয়ে পা রাখেন খেলার জগতে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একই বছর সুযোগ পান টি-টোয়েন্টিতেও। ২০০৯ সালে সাদা পোশাকে তো রাজকীয় অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। উইন্ডিজের মাটিতে ৫ উইকেট শিকার করে জায়গা করে নেন রেকর্ড বুকে। অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার তিনি।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এ সময়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ৪৮ টেস্ট, ১৮৫ ওয়ানডে ও ৮৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ব্যাট হাতে টেস্টে চার সেঞ্চুরিতে দুই হাজার ৭৩৯, ওয়ানডেতে তিন সেঞ্চুরিতে তিন হাজার ৯৯৪ ও টি-টোয়েন্টিতে চার ফিফটিতে এক হাজার ৪৬১ রান করেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তাঁর অবদান কম নয়। ডানহাতি অফস্পিনে বেশ ভালোই করেন মাহমুদউল্লাহ। বল হাতে দেশের হয়ে টেস্টে ৪৩, ওয়ানডেতে ৭৬ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাও আবার একবার নয়; এর আগে চার বিশ্বকাপ খেলেও যেখানে শতকের দেখা পাননি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার, সেখানে চার দিনের ব্যবধানে দুবার সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দেশের হয়ে প্রায় ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম একদিনের ম্যাচে দশম বাংলাদেশি হিসেবে শততম ওয়ানডে খেলেন। এর পর থেকে এখনো চলছে ‘মাহমুদউল্লাহ শো’।
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গুরুদায়িত্ব তাঁর ওপর। সাকিবের ওপর নিষেধাজ্ঞায় টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের নেতা তিনি। এ ছাড়া এ দেশের ক্রিকেটের একজন সফলতম ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ। আজ জন্মদিনেও ক্রিকেট নিয়ে তাঁর ব্যস্ততা। টেস্ট সিরিজ খেলতে দল নিয়ে সন্ধ্যায় পাকিস্তান যাচ্ছেন তিনি। জন্মদিনের দিনে পাকিস্তান সফরে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আরো সাফল্য যোগ করবেন মাহমুদউল্লাহ, ভক্তদের প্রত্যাশা তেমনটাই।