করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ২৪৬৫, প্রাণহানি বাড়ছে বিভিন্ন দেশেও
ক্রমেই আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ সোমবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৬৫ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজারের কাছাকাছি। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, চীনে একদিনে মৃত ও আক্রান্তের হার কমলেও সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, চীনের বাইরেও বিভিন্ন দেশে ঘটছে প্রাণহানি; বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় গতকাল রোববার এক লাফে বেড়ে যায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৩ জনে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬১ জন।
এমন নাজুক অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিয়ুন সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর রোগী বাড়ছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। সরকার যেকোনো মূল্যে এটি নির্মূলের পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। এরপরও ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে ইতালির অবস্থাও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডিক্রি জারি করে দেশটির বেশ কিছু শহর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ভয়াবহতা রুখতে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাপানেও ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়ে চলছে। আক্রান্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সম্রাট নারুহিতো। জুলাইয়ে আসন্ন টোকিও অলিম্পিক নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে, চীনের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রাত-দিনের হিসাব নেই চিকিৎসকদের। অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল মিলছে খুব ধীরগতিতে। একটু একটু করে কমে আসছে করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। বেইজিংয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। এমন ভয়াবহ অবস্থায় এই ধীরগতিকেই আশার আলো হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা।