ক্রিকেটের অর্থ দিয়ে ১২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেবেন মাশরাফী
সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই সংকটের সময় বসে নেই খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের মাসিক বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ দিয়ে তহবিল গঠন করছেন। শুধু তাই নয়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও তারকা ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজের ক্রিকেট খেলার অর্থ দিয়ে এক হাজার ২০০ হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে খাদ্য কেনাকাটা ও তা প্যাকেট করার কাজ শুরু হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি করে ডাল, আলু, লবণ ও একটি সাবান।
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৌমেন বোস বলেন, ‘সদর এবং লোহাগড়া উপজেলায় এক হাজার ২০০ নিম্নবিত্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এখন তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সংকটকালীন বাড়িতে গিয়ে এ খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।’
ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, ‘মাশরাফী তাঁর নিজের তহবিল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসক, নার্স এবং গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ২০০ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) ব্যবস্থা করেছেন এবং আরো ৩০০ পিপিইর ব্যবস্থা করা হবে।’
শুধু তাই নয়, নিজের জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন করে যাচ্ছেন মাশরাফী। সম্প্রতি কবি হেলাল হাফিজের কবিতার মতো করে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেজে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে মাশরাফী বলেন, ‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়.....। নিরাপদ থাকুন, ঘরে থাকুন।’
আরেক স্ট্যাটাসে মাশরাফী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ডাকতে ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুরোধ করেন। ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় মাশরাফী বলেন, “আশা করি সবাই ভালো আছেন। যদিও ‘ভালো আছেন’ কথাটা এ মুহূর্তে বলা ঠিক কি না, কারণ সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যেখানেই যাবেন দেখবেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। তবে আতঙ্কিত না হওয়ারও কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর বড় বড় দেশও এখন বিপর্যস্ত। তারা কোনোভাবেই ট্যাকল দিতে পারছে না।”
দেশের মানুষকে পরামর্শ দিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘বড় বড় দেশকে দেখছি, তারা ভেঙে পড়ছে। আমাদের দেশটা তো এমনিতে ছোট, মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের যদি এ রকম সংকট আসে, আল্লাহ না করুক, কী হতে পারে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। এ মুহূর্তে করণীয় অনেক কিছু আছে, যেগুলো আমি মনে করি আমাদের সবারই করা উচিত। এক হচ্ছে, ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকা আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। আল্লাহর কাছে বলা যে, আল্লাহ আমাদের রহমত করুন।’