পিসিবিতে চাকরি মিলবে শোয়েবের?
বিভিন্ন মন্তব্য করে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতার। কয়েক মাস আগেও নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রমকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর শেষেও আলোচনায় আসছে তাঁর নাম।
তবে এবার আর কোনো নেতিবাচক মন্তব্য নয়। শোয়েব জানালেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বড় ভূমিকা পালনে আগ্রহী তিনি। এমনকি তাঁর সঙ্গে নাকি যোগাযোগও করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্টে প্রথমটিতে হেরেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয়টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে ফলোঅনের লজ্জা থেকে বাঁচে। তিন ম্যাচের টেস্ট শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে হেরে। টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ ড্র করে ফিরেছে পাকিস্তান। পুরো সিরিজে খুব একটা উজ্জ্বল ছিলেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
এর পরই আলোচনায় আসে প্রধান নির্বাচক ও কোচ মিসবাহ-উল-হকের নাম। সাবেক এই ক্রিকেটারের ওপর দুই গুরুদায়িত্ব দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। গুঞ্জন চলছে নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে মিসবাহকে।
এর মধ্যেই ইউটিউব শো ‘ক্রিকেট বাজে’ শোয়েব বলেন, ‘আমি এটা অস্বীকার করব না। হ্যাঁ, বোর্ডের সঙ্গে আমার কিছু আলোচনা হয়েছে এবং আমি পাকিস্তান ক্রিকেটে বড় একটি ভূমিকা পালনে আগ্রহী। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
শোয়েব আরো বলেন, ‘আমি আরামদায়ক জীবন-যাপন করি। আমি ক্রিকেট খেলেছি নিজের মতো, কিন্তু এখন আমি এক জায়গায় স্থির। তবে আমি এই স্বাচ্ছন্দ্য ছাড়তে প্রস্তুত এবং পিসিবির জন্য নিজেকে তৈরির চেষ্টা করছি। অন্যদের পরামর্শ দিতে আমি ভয় পাই না। সুযোগ এলে আমি সেটা করব। আমি এভাবে বলতে চাই না, তবে এটা সত্যি। আমি কোনো চাকরি চাই না এবং আমার পারিশ্রমিকের প্রয়োজন নেই। লোকে কাজ করে পারিশ্রমিকের জন্য, কিন্তু আমার অর্থের প্রয়োজন নেই। আখতারের অনুপ্রেরণা হচ্ছে, বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের একটি পুল তৈরি করা, যারা পাকিস্তান ক্রিকেটে দীর্ঘদিন খেলবে।’
এর আগে মিসবাহর ব্যাপারে পিসিবি সভাপতি এহসান মানি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি, এ কারণেই মিসবাহকে পুরো কর্তৃত্ব ও সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। তবে অবশ্যই তাকেও কৈফিয়ত দিতে হবে এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পিসিবির ক্রিকেট কমিটির মুখোমুখি হতে হবে তাকে। সেখানে তার নিজের এবং দলের পারফরম্যান্স তুলে ধরতে এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা জানাতে বলা হবে তাকে।’