কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা : সিসি ফুটেজে ছয়জন চিহ্নিত
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যায় অংশগ্রহণকারী হিট স্কোয়াডের সম্ভাব্য ছয়জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির অন্তুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সিসি টিভি ফুটেজ থেকে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী চিহ্নিত সদস্যরা হলেন শাহ আলম (এজাহার নামীয়), সাজেন (এজাহার নামীয়), সাব্বির (এজহার নামীয়), জেল সোহেল (এজাহার নামীয়), নাজিম এবং ফেনী থেকে আগত একজন অজ্ঞাত আসামি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২২ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনার পরপরই কুমিল্লা জেলা পুলিশ, এন্টি টেররিজম ইউনিট এবং ডিএমপির কাউন্টার টেররিজমের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার এজাহার নামীয় আসামি মাসুমকে ২৫ নভেম্বর কুমিল্লার চান্দিনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর এজহার নামীয় আসামি জিসানকে কোতোয়ালি থানার পাঁচথুবী শহরের এলাকা থেকে এবং অজ্ঞাত তালিকার পুলিশের তদন্তে পাওয়া আসামি দেবিদ্বার এলাকা থেকে মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরের পরে পুলিশ মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তুকে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসুর রহমানের আদালতে হাজির করে। সেখানে মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু নিজেকে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে অন্তু হিট স্কোয়াডে ছয়জনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তির সহায়তায় হিট স্কোয়াডের ছয়জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
আসামি অন্তুর জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, আসামিরা ঘটনার আগের রাতে সাজেনের বাসায় বৈঠক করে এবং ঘটনার দিন বিকেলে ৪টায় একটি অটোরিকশা ভাড়া করে কাউন্সিলের অফিসের দিকে যায়। অন্তু নিজে হিট স্কোয়াডের সদস্যদের অটোরিকশা ভাড়া করে দিয়েছিলেন। হিট স্কোয়াডের শনাক্তকৃত অপরাধী গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিমের সাঁড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।