সাদাসিধে কথা
প্রিয় মাস ফেব্রুয়ারি
এই যুগের ছেলেমেয়েরা আমাদের শৈশবের কথা শুনলে রীতিমতো আঁতকে উঠবে। তখন টেলিভিশন ছিল না। টেলিভিশন নামে একটা যন্ত্র আছে, সেটা জানতাম এবং সেটা দেখতে কেমন, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতাম। গান শোনার জন্য গ্রামোফোন নামে একটি যন্ত্র ছিল, সেখানে গানের রেকর্ড চাপিয়ে দিলে সেটি ঘুরতে থাকত এবং পিন লাগানো গ্রামোফোনের একটি অংশ ঘুরতে থাকা রেকর্ড থেকে গান বের করে আনত। বিশেষ দিনে রেডিওতে ‘অনুরোধের আসরে’ গান শোনানো হতো। যাঁরা গান শুনতে ভালোবাসতেন, তাঁরা অনুরোধের আসরের জন্যে অপেক্ষা করতেন, বিশেষ গান শোনার জন্য অনুরোধ করে রেডিওতে চিঠি লিখতেন। তখনো কম্পিউটার আবিষ্কার হয়নি, ইন্টারনেট ছিল না, ফেসবুক ছিল না। ক্যামেরায় ফিল্ম ভরে ছবি তোলা হতো, সেই ছবি স্টুডিওতে প্রিন্ট করাতে হতো। হাতে গোনা এক-দুজন মানুষের ক্যামেরা ছিল এবং যাঁদের ক্যামেরা ছিল, সেসব মানুষের বিশেষ সমাদর ছিল। মোবাইল দূরে থাকুক, টেলিফোনও ছিল না। কাউকে জরুরি খবর পাঠাতে হলে পোস্ট অফিসে গিয়ে টেলিগ্রাম করতে হতো। টেলিগ্রাম এসেছে শুনলে সবার বুক আতঙ্কে ধড়াস করে উঠত— ভাবতেন, না জানি কী খবর এসেছে!
এককথায় আজকালকার ছেলেমেয়েরা যেসব জিনিস দিয়ে বিনোদন করে, তার কিছুই ছিল না। আমাদের তখন একটি মাত্র বিনোদন ছিল—বই। এই যুগের ছেলেমেয়েদের মতো বিনোদনের নানা রকম মাধ্যম ছাড়াই আমরা বড় হয়েছি; কিন্তু সব সময়েই হাতের কাছে বই ছিল বলে এতদিন পরেও মনে হয়, ‘আহা! কী চমৎকার একটা শৈশব নিয়েই না আমরা বড় হয়েছি!’
আমাদের তখন অবাধ স্বাধীনতা ছিল। যখন স্কুল নেই, তখন পথেঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছি। নদীতে সাঁতার কেটেছি, দূর কোনো গ্রামে দুই মাথাওয়ালা গরুর জন্ম হয়েছে শুনে সেটা দেখতে গেছি। বাবা-মাকে না জানিয়ে লাশ কাটা ঘরে লাশ কাটা দেখতে গেছি। বিকেল হলেই স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলেছি। গাছের ডালে বসে অখাদ্য কাঁচা আম না হয় কষা পেয়ারা খেয়েছি। আবার দিনের শেষে কম্বল মুড়ি দিয়ে একটা বই নিয়ে বসেছি। নিজের বাসার সব বই পড়া হয়ে গেলে বন্ধুর বই নিয়ে পড়েছি। বন্ধুর বই শেষ হয়ে গেলে স্কুল-লাইব্রেরির বই পড়েছি। স্কুল-লাইব্রেরির বই শেষ হয়ে গেলে পাবলিক লাইব্রেরির বই এনে পড়েছি। জীবনের সমস্ত আনন্দ ছিল বই পড়ার মাঝে!
মাঝেমধ্যে মনে হয়, আজ থেকে ষাট-সত্তর বছর আগে জন্ম হওয়ার কারণে আমরা হয়তো খুবই সৌভাগ্যবান, আমাদের আনন্দের বিষয় ছিল মাত্র একটি, সেটি হচ্ছে বই পড়া। ঘটনাক্রমে যতভাবে আনন্দ পাওয়া সম্ভব তার মাঝে বই পড়ার আনন্দ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ!
আমি সুযোগ পেলে আজকালকার ছেলেমেয়েদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। তাদের জীবনে মনে হয় কোনো আনন্দ নেই। তাদের বাবা-মায়ের ধারণা হয়েছে, জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘গোল্ডেন ফাইভ’। তাই তাদের প্রাইভেট, কোচিং আর ব্যাচে পড়ানোর মাঝে বন্দি করে রেখেছেন। তাদের কাছে বই মানেই হচ্ছে পাঠ্যবই এবং ‘আউট বই’ হচ্ছে নিষিদ্ধ একটি বস্তু! ঘর থেকে বের হয়ে ছোটাছুটি করার তাদের কোনো জায়গা নেই। তাই তাদের কাছে বিনোদন হচ্ছে টেলিভিশনের অখাদ্য সিরিয়াল কিংবা কম্পিউটারের মনিটর। সেই মনিটরে রয়েছে কম্পিউটার গেম কিংবা ফেসবুক। সত্যিকার মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার বিষয়টা তারা মনে হয় ভুলেই যেতে বসেছে, তারা সামাজিক নেটওয়ার্কের ভার্চুয়াল জগতে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। আমি আমার নিজের শৈশবের সঙ্গে তুলনা করে নতুন প্রজন্মের জন্য এক ধরনের বেদনা অনুভব করি। আমার মনে হয়, শুধু আমাদের দেশের ছেলেমেয়ে নয়, সারা পৃথিবীর ছেলেমেয়েই এই বিচিত্র সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এর ফল কী হবে—আমরা এখনো জানি না। সব সময়েই দুর্ভাবনা করি, ভাবি ভবিষ্যতের মানুষ কি একটুখানি বেশি স্বার্থপর হবে? কিংবা একটুখানি বেশি আত্মকেন্দ্রিক অথবা একটুখানি বেশি অসামাজিক? এর উত্তর কে দেবে?
তাহলে কেন আমরা আমাদের পরের প্রজন্মকে এভাবে বড় হতে দিচ্ছি? আমরা কেন সবচেয়ে সহজ সমাধানটি বেছে নিই না? কেন তাদের খুব শৈশবেই বই পড়তে শিখিয়ে দিই না? একটা শিশু যদি বই পড়ে আনন্দ পাওয়া শিখে যায়, তাহলে তার বড় হওয়া নিয়ে আমাদের আর কখনো দুর্ভাবনা করতে হয় না। নতুন বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে কেমন করে বড় করবেন, সেটা নিয়ে অনেক ধরনের দুশ্চিন্তা করেন। আমি আমার নিজের জীবন এবং আশপাশে অনেকের জীবনে যেটা দেখেছি, সেটা সবাইকে বড় গলায় বলে বেড়াই। একটা বাচ্চাকে বই পড়ে শুনিয়ে শুনিয়ে বড় করলে সেই বাচ্চাকে লেখাপড়া শেখাতে হয় না! বইয়ের লেখাগুলো দেখে দেখে সে নিজেই পড়তে শিখে যায়। একটি বাচ্চা যদি বই পড়তে জানে এবং তার চারপাশে যদি বই থাকে, তাহলে তার জীবন নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা করতে হয় না। তাই আমি সুযোগ পেলেই সবাইকে বলি, বই পড়ো, বই পড়ো! সুযোগ না পেলেও বলি, বই পড়ো। বই পড়ো। বই পড়ো।
ফেব্রুয়ারি আমার প্রিয় মাস। কারণ, এটি বইমেলার মাস। আমরা যাঁরা লেখালেখি করি, এই মাসটিতে আমাদের নতুন বই বের হয়। নিজের লেখা একটি নতুন বই হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টানোর আনন্দটি সবাইকে বোঝানো যাবে না। পাঠকের আনন্দটিও কিন্তু কম নয়। প্রিয় লেখকের একটা বই কিংবা প্রিয় বিষয়ের একটা বই হাতে নেওয়ার মাঝে এক ধরনের শিহরণ থাকে। বই থেকে সরে যাওয়া নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষই যখন এক ধরনের দুর্ভাবনা করছে, তখন আমাদের এই বইমেলা দিন দিন আরো বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে আমার খুব ভালো লাগে। তাই ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমার মনটি ঢাকার বইমেলায় পড়ে থাকে। সিলেটে বসে বসে ভাবি, কখন যাব বইমেলায়? কখন যাব?
২.
আমরা পছন্দ করি আর নাই করি, কাগজের বইয়ের পাশাপাশি এখন কিন্তু ডিজিটাল বই আমাদের জীবনে স্থান করে নিচ্ছে! আমার মনে আছে, অনেক বছর আগে আমি আমার পরিচিত প্রকাশকদের সতর্ক করে বলেছিলাম, আপনারা আপনাদের কাগজের বইয়ের পাশাপাশি যদি ডিজিটাল বই কিংবা ই-বুক নিয়ে এখনই চিন্তাভাবনা না করেন, একসময় হঠাৎ করে আবিষ্কার করবেন বই প্রকাশের পুরো ব্যাপারটি আপনাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। তাঁরা আমার কথাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মনে হয়নি; কিন্তু আগামী কয়েক বছরের মাঝে তাঁদের বিষয়টা নতুন করে ভাবতে হবে। সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সত্যিকারের বই এবং ই-বুক নিয়ে মানুষের মাঝে খুব বড় বিতর্ক আছে। আমার পরিচিত অনেকেই আছেন, যাঁরা সত্যিকারের কাগজের বই ছাড়া অন্য যেকোনো ধরনের বই পড়তে রাজি নন। সত্যি কথা বলতে কি, কম্পিউটার ল্যাপটপ কিংবা কোনো ধরনের ই-বুক রিডারের স্ক্রিনে কিছু অক্ষরকে তাঁরা বইয়ের মর্যাদা দিতেও নারাজ! তাঁদের কাছে বই মানেই হচ্ছে শেলফে জায়গা দখল করে থাকা একটা ‘বস্তু’, যেটাকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়, যার পৃষ্ঠা ওল্টানো যায়, পড়তে পড়তে চোখে ঘুম নেমে এলে যেটি বালিশের নিচে রেখে ঘুমিয়ে পড়া যায়! শুধু তা-ই নয়, তাঁরা বলেন কাগজের বই কেনার মাঝে এক ধরনের আনন্দ আছে। কোনো একটা সার্ভার থেকে কম্পিউটারে কিংবা ই-বুক রিডারে একটা ফাইল ডাউন লোড হয়ে যাওয়াটাকে কোনোভাবেই নতুন বই কেনার আনন্দের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
ই-বুকবিরোধী মানুষের প্রতিটি কথায় একটি যুক্তি আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, যতই দিন যাচ্ছে ই-বুক পড়ার অনুভূতি আর সত্যিকার বই পড়ার অনুভূতি ততই কাছাকাছি চলে আসতে শুরু করেছে। ই-বুকের পক্ষেও কিন্তু অনেক যুক্তি আছে। সত্যিকারের বই কেনার জন্যে আমার বইয়ের দোকানে যেতে হয়, বই কিনে হাতে করে বাড়ি ফিরতে হয়। ই-বুক কেনার জন্য কাউকে কোথাও যেতে হয় না। যেকোনো জায়গায় শুয়ে-বসে থেকে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ই-বুক কেনা যায়! ই-বুক কেনার সাথে সাথে বইটি মোটামুটি বিদ্যুৎবেগে আমার কাছে চলে আসে।
এর চেয়ে বড় কথা, কাগজের বইয়ের দাম মোটামুটি আকাশছোঁয়া, ই-বুক-এর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ই-বুক যেহেতু ডিজিটাল, তাই সেটি নিয়ে অনেক কায়দা-কানুন করা যায়, ছোট ফন্টে দেখা যায়, বড় ফন্টে দেখা যায়, দুর্বোধ্য শব্দের বানান দেখা যায়, ইলেকট্রনিক ফন্টে পড়ে শোনা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। একটি সময় ছিল যখন ল্যাপটপ কম্পিউটার বা বিশেষ ধরনের ই-বুক রিডার ছাড়া অন্য কিছুতেই ই-বুক পড়া যেত না, কিন্তু এখন খুবই কম দামের সাধারণ একটা স্মার্ট ফোনেও ই-বুক পড়া যাবে। কাজেই যে কেউ ই-বুক কিনতে পারবেন, পড়তে পারবেন! ই-বুকের সাইজ যেহেতু খুবই ছোট, শুধু তা-ই নয়, যেহেতু যখন যেখানে খুশি সেখানে বই ডাউনলোড করা যায়, তাই একজন মানুষ তার পকেটে আস্ত একটি লাইব্রেরি নিয়ে ঘুরতে পারবেন! এটি কি আগে কখনো কেউ কল্পনা করেছিলেন?
আমাদের বাংলা বইকে ই-বুক করার জন্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিয়েছে, আমি তাদের উদ্যোগগুলো দেখেছি এবং খুব আনন্দের সঙ্গে লক্ষ করেছি সেগুলো চমৎকার! কাজেই আমি মোটামুটি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আগামী এক বা দুই বছরে ই-বুকের জনপ্রিয়তা দেখতে দেখতে অনেক বেড়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, অনুমান করা যায় ভবিষ্যতে সবাই প্রথমে একটা বইকে ই-বুক হিসেবেই প্রকাশ করবেন। যদি দেখা যায়, সেটি ই-বুক হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় একটা বই হিসেবে পাঠক গ্রহণ করেছেন, তখন সেটিকে প্রকাশকরা কাগজের বই হিসেবে প্রকাশ করবেন! প্রচলিত বই মানেই কাগজ, কাগজ মানেই কোথাও না কোথাও একটা গাছের অপমৃত্যু। কাজেই আমরা যদি প্রকৃতিকে ভালোবাসি খুব প্রয়োজন না হলে কাগজের দিকে হাত বাড়াব না! যতক্ষণ সম্ভব, একটা বইকে ই-বুক হিসেবে রেখে দেব।
৩.
ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের খুব প্রিয় মাস। অবশ্যই তার সবচেয়ে বড় কারণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যদি একটু চিন্তা করে দেখি, তাহলে নিজেরাই দেখতে পাই যে, বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতেই আমাদের বাংলাদেশের স্বপ্নের বীজ বপন করা হয়েছিল। আমি সারা বছর এই দিনটির জন্যে অপেক্ষা করি। সেই মধ্যরাত থেকে শহীদ মিনারে যে মানুষের ঢল নামে, একেবারে দুপুর পর্যন্ত সেটি চলতে থাকে, হাজার হাজার পুরুষ-মহিলা, তরুণ-তরুণী কিশোর-কিশোরী, বৃদ্ধ কিংবা শিশুদের ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার দৃশ্যটির মতো সুন্দর দৃশ্য পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না। সেই মানুষের ঢলে ভিড়ের মাঝে হেঁটে যেতে যেতে আমি মাথা ঘুরিয়ে শুধু মানুষ দেখি। দেশ নিয়ে কত মানুষ কত দুর্ভাবনা করে, দেশদ্রোহীদের কথা বলে, জঙ্গিদের কথা বলে, যুদ্ধাপরাধীর কথা বলে, কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারির ভোরে চারপাশের মানুষ দেখে আমি প্রতিবছর নতুন করে অনুভব করি, এই দেশটিতে ধর্মান্ধ, জঙ্গি, দেশদ্রোহী মানবতাবিরোধী অপরাধীদের কোনো জায়গা নেই। এই দেশটি আমাদের, শুধু আমাদের।
ফেব্রুয়ারি মাসকে ভালোবাসার আরেকটি কারণ হচ্ছে বইমেলা। সেটি আগেই বলেছি। এ ছাড়া সব সময়েই এই মাসে সরস্বতী পূজা হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে শুধু একটি কিংবা দুটি প্রতিমা বসানো হতো। এখন আমরা প্রতিমার সংখ্যা গুনে শেষ করতে পারি না! আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, এই পূজা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার সম্মিলিত একটা অনুষ্ঠান। আয়োজকদের কমিটিতে সব ধর্মের মানুষ থাকেন! খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন সবাই সমানভাবে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানটি এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, সব ধর্মের মানুষের একটি উৎসব।
ফেব্রুয়ারি মাস আবার ভালোবাসা দিবসের মাস। যখন আমি আমেরিকা ছিলাম, তখন দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করতে দেখেছি। দেশে এসে একটুখানি বিস্ময় এবং অনেকখানি আনন্দ নিয়ে আবিষ্কার করেছি যে, ভালোবাসা দিবস নাম দিয়ে আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরাও এই দিনটি পালন করতে শুরু করেছেন। কেউ কি লক্ষ করেছেন যে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করার জন্য সারা পৃথিবী যে দিনটি বেছে নিয়েছে, সেটি আসলে আমাদের বসন্তের প্রথম দিনটি ছাড়া কিছুই না!
একটি মাসের মাঝে যদি এত আনন্দ লুকিয়ে থাকে, তাহলে সেই মাসটিকে ভালো না বেসে কি উপায় আছে? তাই এই মাসটিকে আমি খুব ভালোবাসি। প্রিয় মাস ফেব্রুয়ারি তোমার জন্য ভালোবাসা।
লেখক : শিক্ষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট