উদ্যম তারুণ্যে এনটিভি
‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’–একটি বাক্যই বলে দেয় এনটিভির রুচিবোধ। প্রতিষ্ঠার পর ২১ বছরের পথচলায় সময় বদলেছে, এই সময়ে বদলেছে দর্শকের রুচি ও চাহিদা। সে-সবকে প্রাধান্য দিয়ে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ পথপরিক্রমায় দেশ-বিদেশের কোটি কোটি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে আছে সবুজ লোগো সমৃদ্ধ সজীব টিভি চ্যানেলটি। যে লোগো আর পেছনের আবহ সঙ্গীতে মন ছুঁতে বাধ্য। প্রতিশ্রুতিশীল এনটিভি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মানুষের মনে তৈরি করে নিয়েছে আস্থার জায়গা।
নাটক, গান অথবা সিনেমা—সবখানেই দর্শককে মাতিয়ে রাখার চেষ্টায় এনটিভির প্রচেষ্টা অতুলনীয়। এতে প্রচারিত অনুষ্ঠান কখনও কখনও দর্শককে হাসায়, কখনও আবেগী করে তোলে। এই হাসি-কান্নার মধ্যে এনটিভি দর্শক ধরে রাখায় যেমন পটু, তেমনই সমাজ সচেতনতা, মানবতায় অসহায়ের পাশে দাঁড়াতেও কম যায় না। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এনটিভি নিজস্ব অর্থায়নে নানা সামাজিক কাজে নেমে পড়ে, যা দর্শকের নজর কাড়ে বটে! অন্যদের জন্য এটি হয়ে ওঠে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
এনটিভির কলাকুশলী ও সাংবাদিকরা সবসময় সচেতন। তাদের এই সচেতনতা খবর আর বিনোদনে টানছে কোটি কোটি দর্শক। তাই, চ্যানেলটি হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম সেরা। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি দর্শকের কাছে এনটিভি যেন এক আশার বাতিঘর।
শুধু সংবাদ নয়; সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র, খেলাধুলার খবর, ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খবর সম্প্রচার করছে এনটিভি। প্রতিদিন ভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী চ্যানেলটি। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এনটিভিতে সম্প্রচারিত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নির্মিত নাটক, টেলিফিল্ম, সংগীতানুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কেরাত প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, কুইজ ও ভ্রমণবিষয়ক শো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এ ছড়া, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের মতো বছরের বিশেষ দিনে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান দর্শকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে এনটিভি। ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখের মতো উৎসব-পার্বণে থাকে জমকালো আয়োজন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে গান নিয়ে সবচেয়ে সাড়া জাগানো রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান, যা আয়োজন করেছিল এনটিভি। ক্লোজআপ ওয়ান নামটি আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে। পাশাপাশি মার্কস অলরাউন্ডার, সুপারহিরো সুপারহিরোইন, বিজিদের ইজি শো, হা-শো, আলো ছড়াবে উপস্থাপনায়, কেমন বাজেট চাই, পিএইচপি কুরআনের আলো ও আপনার জিজ্ঞাসা অনুষ্ঠান ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সময়ের সাথে আগামীর পথে প্রতিপাদ্যে নিজেদের ঠিক রাখা এনটিভি টেলিস্ত্রিনের পাশাপাশি শুরু করে এনটিভি অনলাইন। ডিজিটাল এই প্লাটফর্মটিকেও দর্শক সমানভাবে গ্রহণ করে। বিশ্বের যেখানে যখনই কোনো ঘটনা ঘটছে, তখনই সেটি তুলে আনছে এনটিভি অনলাইন। দর্শক থেকে পাঠক, কোনো কিছু ঘটলে সবার চোখ থাকে এনটিভি ও এর অনলাইন পোর্টালে। টেলিভিশন যেমন তাৎক্ষণিক, এনটিভি অনলাইনও তেমন। অনলাইনের খবর পৌঁছে যাচ্ছে পাঠকের কাছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কিংবা স্মার্টফোনে।
পৃথিবীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এনটিভি অনলাইনের ওয়েবসাইট। এতে খবর, ছবি ও অডিও-ভিডিও, অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়ার সংযুক্তি এক কথায় অনন্য। অনলাইনে পর্যায়ক্রমে পাওয়া যায় এনটিভির আর্কাইভে থাকা সব অনুষ্ঠান ও খবর। যা কিছু আনন্দ দেয়, উৎসাহ জাগায়, বেদনাহত কিংবা বিস্মিত করে, প্রশ্ন ওঠায়, স্বস্তি দেয় তার সবকিছুই সবার সামনে তুলে ধরছে এনটিভি। একটি গণমাধ্যমের বড় শক্তি আপোষ না করা, যেখানে এনটিভি এগিয়ে আছে।
এনটিভির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২২তম জন্মদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বর্তমানের প্রেক্ষাপটে যা আরও বেশি। এই দীর্ঘ যাত্রা তাদের দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতার প্রমাণ। তথ্য, বিনোদন ও খেলাধুলার মাধ্যমে তারা দর্শক-পাঠকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। টিভি চালু করলে রিমোট ঘুরিয়ে একবার এনটিভির পর্দায় চোখ রাখা এবং ডিজিটালে অনলাইনে ঢুঁ মারা–এটি মননশীল মানুষের যেন রোজকার রুটিন হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকুক আগামীতে। নিজেকেই নিজে ছাড়িয়ে যাক এনটিভি, ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক এই কামনা।